নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ মুক্তি পেলে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেন ফেরদৌস। অন্যদিকে ‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবিটি মুক্তির পর শিমলাকে নিয়ে হইচই পড়ে। দুজনই আলোচনায় আসেন। দুটি ছবি তাঁদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সম্মাননা এনে দেয়। এর পর থেকে এখনো নিজেদের মতো করে কাজ করছেন তাঁরা।
দুই যুগের অভিনয়জীবনে তাঁরা একসঙ্গে এখন পর্যন্ত তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ ছবি ‘পরম প্রিয়’ মুক্তি পেয়েছে, তা–ও দেড় দশক হবে। দীর্ঘ বিরতির পর এই দুই তারকা একসঙ্গে ছবিতে অভিনয় করছেন। ‘দক্ষিণ দুয়ার’ নামের এই ছবির পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।
সম্প্রতি শিবচরে ‘দক্ষিণ দুয়ার’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে, চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। এর মধ্যে দুই দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসে ফেরদৌস জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন।
আজ শুক্রবার আবার তিনি শিবচরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। সমসাময়িক নানা ইস্যু নিয়ে ছবি নির্মাণ করে থাকেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করছেন পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন, জীবনের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী শিমলা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবিতে। এরপর তিনি ভারতে ছিলেন কয়েক বছর। করোনার সময়টায়ও তিনি সেখানে ছিলেন। বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের চেষ্টাও চালান। বলিউড অভিনেতা গোবিন্দর সঙ্গে ‘সমাধি’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় শিমলার সেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এরপর তাঁর বলিউড ছবির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শিমলা বললেন, ‘কয়েক বছর পর দেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি। অনুভূতিটা দারুণ। মনেই হচ্ছে না, দেশের কোনো ছবিতে বছর পাঁচেক পর অভিনয় করছি। সবাই ভীষণ আপন করে নিয়ে নিয়েছেন। আমারও সুন্দর একটি গল্পের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে।’
‘দক্ষিণ দুয়ার’ ছবিতে ফেরদৌসকে নৌকা ব্যবসায়ী হিসেবে দেখানো হবে। আর তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শিমলা। ফেরদৌস জানালেন, সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘অন্তর্ধান’ ছবি দুটোতে কাজ করেছেন। দুটি ছবি প্রশংসিত হয় এবং একাধিক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।
নতুন ছবিটি প্রসঙ্গে ফেরদৌস বললেন, ‘গল্পটা আমার ভালো লাগায় কাজটা করতে রাজি হয়েছি। এখন পর্যন্ত যে কদিন কাজ করেছি, তা আমার বেশ ভালো লেগেছে। আশা করছি, এই ছবিতে পদ্মাপাড়ের মানুষের জীববৈচিত্র্য সুন্দরভাবে উঠে আসবে। দর্শকেরা চমৎকারভাবে বিনোদিতও হবেন।’