মাহিয়া মাহি। ইনস্টাগ্রাম থেকে
মাহিয়া মাহি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

আমার ফারিশ আছে, তাই আপাতত আমার কাউকে লাগবে না: মাহি

১৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে এক ভিডিও বার্তায় মাহিয়া মাহি জানিয়েছেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই রাকিব সরকারের সঙ্গে থাকছেন না। আর সংসারও করবেন না তিনি। শিগগিরই বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হবে।

এর পর থেকে ছেলে ফারিশকে নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। সেসব স্থিরচিত্র অনুসারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছেন তিনি। আবার কখনো কখনো তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির বিভিন্ন স্থিরচিত্রের সঙ্গে ফেসবুকে রহস্যঘেরা স্ট্যাটাস লিখছেন মাহি।

দুই দিন আগে মাহি তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে, একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে, একটু খালি যত্ন নিলেই চলবে।’
গতকাল মঙ্গলবার চলচ্চিত্রের সহশিল্পী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আস্থার আস্তানা।’

মাহিয়া মাহি

এসব স্ট্যাটাসে দেখে মাহির ভক্ত-দর্শকেরা খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। কেউ কেউ ভাবছেন তাহলে রাকিবের সঙ্গে আলাদা হওয়ার ঘোষণার পর নতুন করে কি আবার জীবন শুরু করতে চান মাহি? এসব স্ট্যাটাস ধরে একাধিক গণমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ খবরও প্রকাশিত হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই বিরক্ত মাহি। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক পেজে।

ভিডিওর একাংশে বলেছেন, ‘আমি শিল্পী মানুষ। আমার জীবনে প্রেম আছে বলে প্রেমের দুলাইন লিখেছি, দুঃখ আছে বলে দুঃখের দুলাইন লিখেছি, এমনটি নয়। শিল্পী মানুষ, একেক সময় একেক ভাবনা মনে আসে। একটা গান শুনলে গানের ভেতর ঢুকে যাই। সিনেমার কোনো দুঃখের সংলাপ শুনলে দুঃখের মধ্যে ঢুকে যাই। তখন ফেসবুকে ওই সংলাপের, ওই গানের দুলাইন করে লিখি। এগুলো তো জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আমি এমন কিছু ফেসবুকে লিখিনি যে নিউজ হতে পারে। এসব নিয়ে কেমন কেমন হেডলাইনের নিউজ হয়, খারাপ লাগে!’

মাহিয়া মাহি

আরেক অংশে বলেছেন, ‘আমি স্ট্যাটাসে “আস্থা” শব্দটি ব্যবহার করেছি, এটি লেখার জন্য লেখা। এটি সত্যি কোনো আস্থার জায়গা খুঁজছি এমনটি নয়। আমি সুন্দর করে দুটি লাইন লিখেছি। ভালো লাগার কারণে এটি লেখা। আর ফেসবুক তো মনের ভাব প্রকাশ করারই জায়গা। কিন্তু আমি যে ভাবনা থেকে লিখি, খবরে প্রকাশ হয় একটু অন্যভাবে, কষ্ট দেয় আমাকে।’

এই অভিনেত্রীর কথা, সাংবাদিক ভাইয়েরা এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, মনে হচ্ছে যেন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, আমার কাউকে লাগবে। কিন্তু না, আমার ফারিশ আছে। তাই আপাতত আমার কাউকে লাগবে না। তবে আমরা মানুষ, দিন শেষে একা একা লাগে। এ জন্য কিছু কিছু জিনিস ফেসবুকে লিখি। তার মানে এই নয় যে আমি কাউকে খুঁজছি।’

মাহিয়া মাহি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

ভিডিওর অন্য একাংশে মাহির বক্তব্য, ‘মিডিয়াতে আমার কোনো বন্ধু নেই। আর মিডিয়ার কোনো আড্ডাতে, পার্টিতে আমি যাই না। সময় কাটাই না। আমাকে দেখা যায় না। আমি কেন মিডিয়ার কোনো অনুষ্ঠানে যাই না, অংশ নিই না—এ জন্য আমাকে মিডিয়ার মানুষের কাছ থেকে কম কথা শুনতে হয়নি। আমি অবসরে সময় কাটাই আমার ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে। আমার মন খারাপ থাকলে তাদের সঙ্গেই আড্ডা দিই, ঘুরতে যাই। মন ভালো থাকলে তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি সময়টা। আমি যখন মাহি হয়ে উঠিনি, তখন থেকেই তারা আমার সঙ্গে ছিল।’

মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘আমি রাকিব সরকারকে খুব ভালোবেসেছিলাম। এমন ভালোবাসা দিয়েছিলাম তাঁকে, সিনেমা থেকে সরে গিয়েছি। কারণ, রাকিব এটি পছন্দ করেননি। মুখে না বললেও বুঝেছি। আমাকে গুলি করে মারতে চাইলেও রাকিব সম্পর্কে বাজে কথা বলতে পারব না। আমি তাকে সম্মান করি। সে আমার ছেলের বাবা।’

ফেসবুকে তাঁর দেওয়া স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করে ভিডিওর শেষে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমার স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো নিউজ করবেন না। আমি লিখি এক রকম, নিউজ হলে দেখায় অন্য রকম।’