গতকাল শুক্রবার হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশির ভাগ পদেই মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন। সভাপতি হিসেবে ২৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর ও ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অভিনেতা শ্রাবণ শাহ। তিনি মাত্র এক ভোট পেয়েছেন। মাত্র এক ভোট পাওয়াটা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ইতিহাসে একটা রেকর্ড মনে করছেন চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এ ব্যাপারে শ্রাবণ শাহর বক্তব্য, ‘আমি ভোটের আগেই জানতাম আমি আমার ভোট ছাড়া পাব না। কারণ, আমি ভোটের জন্য প্রচার-প্রচারণা করিনি। কারও কাছে ভোট চাইনি আমি। কোনো ব্যানার–ফেস্টুন করিনি। যা হওয়ার, তা–ই হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করতে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম।’
মাত্র এক ভোট পাওয়ায় শ্রাবণের কোনো দুঃখ নেই। প্রতিবাদস্বরূপ এই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানান এই নায়ক। শ্রাবণের ভাষ্য, ‘গত ২৬ মার্চ শিল্পী সমিতি আমার ভোটাধিকার বাতিল করেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে এতে জড়িত ছিলেন বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে ভোটাধিকার ফেরত পেয়েছি। তখনই আমি নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই।’
শ্রাবণ শাহ আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি কখনো কোনো কথা বলিনি। তারপরও হঠাৎ আমার ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। আমি প্রতিবাদস্বরূপ ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার জেদ ছিল শুধু আমার ভোট পেলেও ভোটে দাঁড়াব। সেটি করেছি। এমনিতে এই পদে দাঁড়ানো আমার দুঃসাহস ছিল না!’
কেন আপনার ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছিল? জানতে চাইলে এই নায়ক বলেন, ‘পরে কিছু জায়গা থেকে জানতে পেরেছি, আমি নাকি মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এটি পুরোটাই মিথ্যা কথা। ওই পদে দাঁড়ানোর যোগ্যতা আমার নেই। আমি সভাপতি পদে নির্বাচন করব কোনো দিন চিন্তাও করিনি।’
এতে ভাবমূর্তির ক্ষতি হলো না আপনার? এ ব্যাপারে এই অভিনেতা বলেন, ‘হয়তো অনেকে ফেসবুকে এক ভোট পাওয়া নিয়ে মজা করে লেখালেখি করছেন। তবে আমি মনে করছি, ভাবমূর্তি ক্ষতির কিছু দেখছি না। ভোটে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পেরেছি, এটাই আমার জন্য এনাফ।’
২০১৩ সালে ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু হয় শ্রাবণ শাহর। পরবর্তী সময়ে ‘ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম’, ‘দাবাং’, ‘আপন মানুষ’, ‘অশান্ত মেয়ে’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘আপন মানুষ’ চলচ্চিত্রে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন পরীমনি।