২০১৭ সালের শেষের দিকে শাকিব খান অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) মহাখালী জোনাল অফিসে। সেই আবেদন নিয়ে ওই সময় সালিস হয়। শাকিব উপস্থিত না হলেও অপু বিশ্বাসের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। সেই সালিসের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
তাতে সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের আজকের সালিস কেসে বিবাদী অপু বিশ্বাস উপস্থিত হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য প্রদান করেছেন। আসলে তিনি মীমাংসা করতে চান, তাঁর স্বামী নিয়ে সন্তান নিয়ে ঘর–সংসার করতে চান। বাদী উপস্থিত হননি। সাধারণ একটি সাদা কাগজে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি। কাজি অফিসের মাধ্যমে কোনো রেজিস্ট্রি হয়ে আসেনি এটি। কোনো কাবিননামা, কোনো সাক্ষী, কোনো হলফনামা নেই।’
এর পর থেকে শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া না–হওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ভিডিওটি দেখে অনেকে ধারণা করছেন, তাঁদের তালাক হয়নি।
কিন্তু অপু বিশ্বাস কী বলছেন? একটি সেলিব্রিটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ১২ জুলাই সন্তান জয়কে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন অপু বিশ্বাস। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমিও ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের তাঁদের সঙ্গে কথা বললে ভালো হয়। তাঁরা এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে পারবেন।’
কিন্তু আপনি তো সেদিন উপস্থিত ছিলেন। আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই বললে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এটি একটি সেনসিটিভ ব্যাপার। আমি আগেভাগে বলতে চাই না।
আমরা যখন সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম, তখন রাগের বশে না বুঝে অনেক কথা বলে ফেলেছিলাম, এ জন্য আমাকে ভুগতে হয়েছে। আমি আর ভুগতে চাই না। আমার মা–বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আমি নতুন করে মা–বাবা পেয়েছি। শুধু স্বামী নয়, সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর জীবন পার করতে চাই। তাই একটু সময় দিন আমাকে, সুন্দর সময়ে সুন্দর কথাগুলো বলব।’
বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করার আগে থেকেই সন্তানকে নিয়ে অপু বিশ্বাস আলাদা থাকেন। দুজন আলাদা থাকলেও সন্তান জয় প্রায় দিনই শাকিবের বাসায় সময় কাটায়। তবে বছরখানেক ধরে সন্তানের সঙ্গে অপু বিশ্বাসেরও শাকিবের বাসায় যাওয়া–আসা বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে। দেখাসাক্ষাৎ, কথাবার্তাও হয় তাঁদের। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ঢালিউডে কানাঘুষা চলে আসছে—আবারও এক ছাদের নিচে ফিরছেন শাকিব-অপু। আবার অনেকে এ–ও বলছেন, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদই হয়নি।