‘কলকাতার ফুচকা আজও আমার কাছে প্রিয়। কলকাতার ফুচকার রয়েছে আলাদা একটি স্বাদ। সেই স্বাদ আর অন্য কোনো জায়গার ফুচকায় পাওয়া যায় না। তাই কলকাতায় এলেই মন ভরে ফুচকা খাই। এবারও এই পূজার মৌসুমে এসে প্রচুর ফুচকা খেয়েছি।’ গত সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তারকা অপু বিশ্বাস কলকাতাস্থ ইন্দোবাংলা প্রেসক্লাব দপ্তরে তাঁকে নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এসব কথা বলেন।
অপু বিশ্বাস তাঁর একমাত্র ছেলে আবরাম খান জয়কে নিয়ে কলকাতায় এসেছেন। পূজার বিজয়া দশমীর দিন তিনি কলকাতার কাঁকুরগাছির যুবকবৃন্দ ক্লাবের সর্বজনীন পূজায় সিঁদুর খেলায় অংশ নেন। এবার সর্বজনীন এই পূজা কমিটি এবার পূজার মুখ করেছিল অপু বিশ্বাসকে।
গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার ইন্দোবাংলা প্রেসক্লাবের দপ্তরে এক সাংবাদিক সন্মেলনে অপু বিশ্বাস সাংবাদিকদের কাছে তাঁর স্বপ্নের নানা কথা শোনালেন। তিনি বলেন, ‘এখনো আমার প্রিয় কলকাতার ফুচকা। প্রিয় জায়গা কলকাতার সল্টলেকের ইকো এবং নিকো পার্ক। ছেলেরও খুব পছন্দ এই ইকো পার্ক আর নির্কো পার্ক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পূজা নয়, এবার আমি কলকাতায় এসেছি আমার প্রয়াত মা–বাবার পিণ্ড দান করার জন্য। তাই ছুটে গিয়েছিলাম বিহারের হিন্দু তীর্থস্থান গয়াতে। গয়ার পুণ্যভূমিতে আমি আমার মা–বাবার পিণ্ড দান করে আত্মায় অবারিত শান্তি পেয়েছি। আমার মা–বাবা ছিল আমার আদর্শ। প্রতি মুহূর্তে তাঁদের মিস করি।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সব সময় ছায়ার মতো ছিলেন এই অভিনেত্রীর মা শেফালী বিশ্বাস। ২০২০ সালে হঠাৎ করেই মাকে হারান অপু বিশ্বাস। মায়ের কথা স্মরণ করে অপু বলেন,‘মায়ের উৎসাহে আমি আজ এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম একজন নৃত্য শিল্পী হওয়ার। মা একজন নৃত্য শিল্প ছিলেন। শেষ পর্যন্ত হয়ে গেলাম একজন অভিনেত্রী। বাংলাদেশের নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে আমি নাচ ছেড়ে অভিনয় জগতে পা বাড়াই। ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিজেকে বিলিয়ে দেই চলচ্চিত্রে।’
কলকাতার দুর্গাপূজা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে ভালো লাগে কলকাতার পূজা। এবার কাঁকুরগাছির যুবকবৃন্দ ক্লাব আমাকে পূজার মুখ করেছিল। তাই তো ওদের পূজায় অংশ নিতে আমি ছুটে এসেছিলাম। এখনো আমি রাজনীতির ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি অভিনেত্রী হিসেবে থাকতে চাই আমার দেশের মাটিতে।’ আলাপের একপর্যায়ে অপু বিশ্বাস বললেন, ‘আমি কলকাতার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছি। উনি খুব ভালো মানুষ। কলকাতার যেসব অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছি, তাদের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। সবাই ভালো মানুষ। তাঁরাও আমাকে খুব ভালোবাসেন।’