ঈদুল আজহায় দেশের সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’। মুক্তির তৃতীয় দিন চলছে, ছবিটি নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। কোনো প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দুই দিন আগে টিকিট শেষ। আবার মধুমিতার মতো প্রেক্ষাগৃহে চড়া মূল্যেও টিকিট না পেয়ে ছবিপ্রেমীরাও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি তারকারাও ছবিটি দেখছেন। দেখার পর নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার ছবিটি ঢাকার মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্স শাখায় ছবিটি উপভোগ করেছেন সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপক আলিফ আলাউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, ‘হইহুল্লোড় করে সবাই সিনেমা দেখেছে, দারুণ উপভোগ করেছি।’
বাংলাদেশি গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলীর কন্যা আলিফ আলাউদ্দিনও গানে গানে লম্বা সময় পার করছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন আর নতুন কোনো গানে তাঁকে দেখা যায় না। বাবার কাজের সুবাদে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও জানাশোনা এই কিংবদন্তি কন্যার। ‘তুফান’ ছবিটি দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তেমনটাও বললেন আলিফ। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জন্ম আমার। এফডিসি ছিল আমার ঘরবাড়ি। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, শুটিং, এডিটিং বা গানের রেকর্ডিং—এসব দেখতে দেখতেই বড় হয়েছি। শাকিব খান একটি মুখ থুবড়ে পড়া ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বছরের পর বছর তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে—এটা বিশাল এক ব্যাপার।’
শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমা দেখে আলিফ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা না দেখে নাক সিটকানোর ব্যাপারটা আর কুল না। নিজের দেশের সিনেমা দেখবেন, ভালো না লাগলে সমালোচনা করবেন, তা–ও দেখবেন। গতকাল এসকেএস “তুফান” দেখতে গিয়ে ফুল হাউস পেয়েছি। হইহুল্লোড় করে সবাই সিনেমা দেখেছে, সেটা দারুণ উপভোগ করেছি। রায়হান রাফি আমাদের সেভিং গ্রেস (ত্রাতা), ভালো মানের সিনেমা উপহার দেওয়ার অদম্য চেষ্টায় থাকেন। আর মেগাস্টার শাকিব খান আসলেই মেগাস্টার—সেটা সবাই জানেন তাঁর “লার্জার দ্যান লাইফ” পর্দা উপস্থিতির জন্য। ভালো পরিচালনায়, ভালো অভিনেতা ভালো অভিনয় করবে, সেটাই স্বাভাবিক—তা–ই হয়েছে।’
আলিফ জানান, এই সিনেমা নিয়ে তাঁর নিজস্ব মতামতও রয়েছে। এটা নিয়েও তিনি কথা বলবেন। সে বিষয়টি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করে আলিফ বললেন, ‘“তুফান” নিয়ে অবশ্যই আমার নিজস্ব মতামত আছে, তা গ্রিক মিথ–এ (ইউটিউব ও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মভিত্তিক অনুষ্ঠান) রোববারে বলব। তবে আমি অবশ্যই বলতে চাই, ওভারঅল ফুল অন এন্টারটেইনড। গাওসুল আলম শাওন, চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, মিমি চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, মিশা সওদাগর, গাজী রাকায়েত সবাইকে দেখে ভালো লেগেছে। এই প্রোডাকশনের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ শাহরিয়ার শাকিল ভাইকে। যাঁরা এখনো দেখেননি হলে গিয়ে দেখে আসুন।’