চিত্রনায়ক রুবেল
চিত্রনায়ক রুবেল

শুধু সুপারস্টার না, আপনি অসাধারণ মানুষ, রুবেলের উদ্দেশে মিশা

তিনি একাধারে যেমন চিত্রনায়ক, তেমনি বাংলা চলচ্চিত্রের ‘অ্যাকশন কিং’ হিসেবেও তাঁর পরিচিতি আছে। বাণিজ্যিক ধারার বাংলা সিনেমার দর্শকের কাছে রুবেলের সিনেমা মানেই অন্য কিছু; চলচ্চিত্রজুড়ে রুবেলের মারমার কাটকাট সংলাপ আর ফাইট। তাঁর অ্যাকশন কিন্তু সাধারণ কিছু নয়, কুংফু, কারাতে। মার্শাল আর্টের অ্যাকশনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই হিরো।
তাঁর পারিবারিক নাম মাসুম পারভেজ রুবেল। আরও একটি পরিচয়ও আছে নায়কের। তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার ছোট ভাই। আজ নায়ক রুবেলের জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যাচ্ছেন রুবেল।
এর মধ্যে রুবেলকে বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। দুজনের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে মিশা লেখেন, ‘আপনি শুধু সুপারস্টার না, আপনি একজন অসাধারণ মানুষ। আপনার উদারতায় আমরা মুগ্ধ হই। শুভ জন্মদিন রুবেল ভাই।’ এই পোস্টেও রুবেলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্তব্য করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।

ফেসবুকে রুবেলকে বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর

১৯৬০ সালের ৩ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন রুবেল। প্রথম সিনেমা শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’। এই সিনেমার মাধ্যমেই কুংফু, কারাতে মার্শাল আর্টের অ্যাকশন জনপ্রিয়তা পায়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ঢাকাই সিনেমার ‘ব্রুসলি’ বলা হতো তাঁকে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ঢাকাই সিনেমাকে মার্শাল আর্টে মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল মার্শাল আর্ট। এমনকি মার্শাল আর্টের প্রতি ঝুঁকে পড়েছিলেন বহু কিশোর-তরুণ।

‘লড়াকু’ সিনেমার পরপরই ‘উদ্ধার’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘হুংকার’, ‘বীরবিক্রম’, ‘আমিই শাহেনশাহ’, ‘বিষদাঁত’, ‘বজ্রপাত’, ‘ইনকিলাব’—সব কটি সিনেমাই সুপারহিট। অভিনয় ক্যারিয়ারে পার করেছেন ৩৫ বছর। এর মধ্যে প্রায় ২৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন রুবেল। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রায় ১০০ নায়িকা।

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক আর পরিচালক হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেন নায়ক। তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিগুলো হচ্ছে ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘প্রবেশ নিষেধ’, ‘বাঘে বাঘে লড়াই’, ‘টর্নেডো কামাল’, ‘বিষাক্ত চোখ’, ‘রক্তপিপাসা’, ‘সিটি রংবাজ’, ‘খুনের পরিণাম’, ‘অন্ধকারে চিতা’, ‘চারিদিকে অন্ধকার’। অভিনয়ের পাশাপাশি শুরু থেকেই ফাইট ডিরেক্টর হিসেবেও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রুবেল।