টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর এবার বিশ্বের আরেকটি বড় উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’। বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য এবার ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে খবরটি জানিয়েছেন ছবির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী মেহজাবীন চৌধুরী। প্রথম আলোকে মেহজাবীন জানালেন, উইন্ডো টু এশিয়ান ফিল্মস বিভাগে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে।
বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার খবরে আনন্দিত মেহজাবীন। বললেন, ‘বুসানে যাচ্ছে। এটা পুরো টিমের জন্য বড় একটা পাওয়া। প্রথম চলচ্চিত্র টরন্টোর পর বুসানে যাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রেও বেশ অনুপ্রাণিত করেছে। ফিল্ম কেন করছি না বা কবে করব, এ ধরনের প্রশ্ন কয়েক বছর ধরে চলছিল। অবশেষে একটা ফিল্ম করলাম এবং সেটা দেশে মুক্তির আগে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে আমিও একটা ফিল্মের মাধ্যমে আমি ও আমার টিমসহ সবাই উপস্থাপন করতে পারছি, বিভিন্ন অঙ্গনে—সেটা বাড়তি প্রাপ্তি বলব। কারণ, এমনটা হবে আমরা কখনো ভাবিনি। এ রকম কোনো উদ্দেশ্য নিয়েও বানানো হয়নি। কিন্তু এটা যে আন্তর্জাতিকভাবে সবাই কানেক্ট করতে পারছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সেটা অবশ্যই বাড়তি পাওয়া।’
মেহজাবীন জানালেন, সাবা ছবিটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিনিটের। এর আগে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয় সাবা ছবিটি। অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এটি নির্মাতা মাকসুদ হোসেনেরও প্রথম সিনেমা। নির্মাতা ও অভিনেত্রীর প্রথম ছবিটি প্রথমবারের মতো দর্শকের সামনে আসছে।
টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর আগে ‘সাবা’র প্রদর্শনীর সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। ফিউশন পিকচার্সের ব্যানারে নির্মিত ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন মাকসুদ ও ত্রিলোরা খান। এখনো দেশে মুক্তি পায়নি ‘সাবা’। ছবিটি দেশের দর্শকদের সামনে কবে আসবে, জানতে চাইলে নির্মাতা মাকসুদ প্রথম আলোকে জানান, আগামী বছরের শুরুর দিকে ছবিটি দেশে মুক্তি পাবে। এর আগে ছবিটি নিয়ে আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করছেন মাকসুদ হোসেন। নির্মাণের পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার হিসেবেও তিনি পরিচিত। বর্তমানে ‘বেবিমুন’ নামে পরবর্তী সিনেমার চিত্রনাট্য করছেন তিনি।