চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলামকে। গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করা হয়, যার নম্বর ১১৩৬। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত পুরো ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা, এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর জানিয়েছেন, আবার মামলা কিসের! গণমাধ্যমে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম) নিয়ে আর পারি না। ওনার তো সবকিছু দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার মামলা কিসের! আমি এ বিষয়ে জানিই না, এসব তো ফাজলামো।’
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হিরো আলমের মাধ্যমে সিমি ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন অপু বিশ্বাস। এ তথ্য উল্লেখ করার পর অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে হিরো আলম এল কোথা থেকে! এটা সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাঁকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন! সে টাকা কোথায় দিল, কাকে দিল, জানি না। এখন মনগড়া কথা বলছে কেন! আমার আস্থা এই সরকার ও আইনের প্রতি। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে, তার কিছুই জানি না।’
অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেল অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জানালেন। বললেন, ‘উনি (সিমি) যদি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে এমনিতেই চলচ্চিত্রের দুরবস্থা; এ সময় এসব সাধারণ (সিলি) ব্যাপার নিয়ে কেন কথা বলছেন? আর আমি এসব দেখিও না, আমার অ্যাডমিন দেখেন। অফিশিয়ালি তাঁরা ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো, তাহলে আমি বলতে পারতাম।’
সিমি ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁর প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অপরাধী বাদশা’। এরপর তিনি একে একে প্রযোজনা করেন ‘মাই নেম ইজ সিমি’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’এবং ‘নারী শক্তি’ ছবিগুলো। বর্তমানে তাঁর প্রযোজিত আরও দুটি ছবির কাজ চলছে। এসব ছবি হচ্ছে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ এবং ‘ভুল মানুষ’।