এবারের ঈদে ঢালিউডে রেকর্ডসংখ্যক ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ছবিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি ছবিরই নায়ক শরীফুল রাজ। ছবি তিনটি হলো ‘কাজলরেখা, ‘ওমর’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। মাল্টিপ্লেক্সসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে যখন প্রদর্শিত হচ্ছে, তখন এই তিন ছবির নায়ক শরীফুল রাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামে। সেখানে ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে রাজ বলেন, ‘আজ ভোররাতে এখানে এসেছি। অনেক দিন পর এলাম। বন্ধুদের অনেকে ঢাকায় থাকে, তারাও ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সবাই একসঙ্গে আছি আমরা। স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।’
যখন ঢাকাসহ সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাপ্রেমী দর্শকের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা, তখন গ্রামে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আছেন নায়ক রাজ। চাপমুক্ত থাকতেই কি গ্রামে চলে গেছেন? এ ব্যাপারে রাজ বলেন, কোনো চাপ নেই। আজ ছবিগুলো মুক্তির প্রথম দিন। এখনই দর্শকের প্রতিক্রিয়া মাথায় নেওয়া যাবে না। আরও তিন-চার দিন গেলে ছবিগুলোর রিভিউ বোঝা যাবে।
যাঁরা এরই মধ্যে আপনার ছবি দেখেছেন, তাঁদের কাছ থেকে কোনো প্রক্রিয়া পাচ্ছেন কি?
এই প্রশ্নে রাজ বলেন, ‘আমি অনেকটাই নেটওয়ার্কের বাইরে আছি। এখান থেকে সব সময় কথা বলা মুশকিল। ছবি খবর এখনো কেউ ওভাবে জানায়নি আমাকে। তবে শুনছি, মাল্টিপ্লেক্সে সব সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। দর্শকের আগ্রহ বেশ ইতিবাচক। বাংলা সিনেমার জন্য এটি দরকার।’
শরীফুল রাজ আরও বলেন, ‘আজ ‘ওমর ও ‘কাজলরেখা’ টিমের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে থাকার কথা ছিল; কিন্তু হুট করে চলে এসেছি। দু-এক দিনের মধ্যে ফিরব। ফিরেই হলে হলে যাব। দর্শকদের সঙ্গে বসে আগে আমার সিনেমা তিনটি দেখব।’
তিনটি তিন ধরনের ছবি। রাজের চরিত্রও তিন রকমের। দর্শকের কাছে বেশি ভালো লাগার সম্ভাবনা দেখছেন কোন ছবিটি, জানতে চাইলে ‘পরান’খ্যাত রাজ বলেন, তিনটি ছবিই তিন ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রেক্ষাগৃহে বসে তিনটির কোনোটিকেই পেছনে ফেলতে পারবেন না দর্শক। তবে গল্পের প্রয়োজনে নিজের বেশি সময় দিতে হয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘কাজলরেখা’ ছবিতে।’
হলে বসে নিজের কোন ছবিটি আগে দেখার ইচ্ছা? এ ব্যাপারে এই অভিনেতা বলেন, ‘সময়-শিডিউল মিলিয়ে যেটি আগে দেখার সুযোগ হবে, সেটিই আগে দেখব। এ ছাড়া ঈদের অন্য ছবিগুলোও দেখার ইচ্ছা আছে।’
রাজ-পরীমনির বিচ্ছেদ হলেও সন্তান পুণ্য মা পরীমনির কাছেই থাকে। অনেক দিন ধরেই সন্তানের সঙ্গে দেখা হয়নি রাজের। বছরের বিশেষ দিন ঈদেও পুণ্যের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি, জানালেন রাজ।
রাজ বলেন, ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই, বিচ্ছেদের পর আমার আর পরীর মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক জায়গায় নেই। বিষয়টি এমন একটি জায়গা এখন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী সেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। তবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে আমার সন্তান। সে হাসিখুশিতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। এটাই আমার সন্তানের জন্য দরকার ছিল। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’