পরিচালক অনন্য মামুনের তথ্য অনুযায়ী, ‘দরদ’–এর শুটিংয়ে অংশ নিতে ১৫ অক্টোবর মুম্বাইয়ে উড়াল দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খানের। ভারতের বারানসিতে এই সিনেমার শুটিং শুরুর আগে মুম্বাইয়ে ফটোশুট, স্ক্রিপ্ট রিডিং সেসন, লুক সেট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথাসময়ে ভিসা হাতে না আসায় ঘোষিত সময়ে সেখানে যেতে পারেননি শাকিব খানসহ ১৪ জনের পুরো ইউনিট। গতকাল রোববার রাতে শাকিব খানসহ সবাই ভিসা পেয়েছেন। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছবির অন্যতম প্রযোজক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও পরিচালক অনন্য মামুন।
‘দরদ’ ছবির বাংলাদেশি পরিচালক অনন্য মামুন দুই সপ্তাহ ধরে ভারতের মুম্বাইয়ে আছেন। আজ সোমবার সকালে কথা প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে জানান, ‘শুটিংয়ের যাবতীয় কাজ শুরু হয়েছে আরও আগে।
গতকাল রাতে শাকিব ভাইসহ বাংলাদেশ অংশের সবার ভিসা হয়েছে। ভিসা পেতে দেরি হলেও আমাদের কোনো কাজ থেমে ছিল না। বারানসিতে টিম কাজ করছে। এদিকে মুম্বাইয়ে হিরোইন সোনাল চৌহানকে নিয়ে আমরা গতকাল স্ক্রিপ্ট রিডিং সেসন করেছি। কাজ কিন্তু মোটেও থেমে নেই। চলছে গানের কাজও। শাকিব ভাই আসার পর লুক সেট, হিরোইনসহ স্ক্রিপ্ট রিডিং সেসন ও ফটোশুট হবে। এরপর ২৬ অক্টোবর আমরা উড়াল দেব বারানসিতে। ২৭ অক্টোবর থেকে বারানসি ও এলাহাবাদের বিভিন্ন লোকেশনে টানা শুটিং শেষ করে তারপর দেশে ফিরব।’
কথায় কথায় অনন্য মামুন বললেন, ‘“দরদ” ছবির গল্পটা নিয়ে শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে মাস তিনেকের বেশি সময় ধরে আলাপ–আলোচনা চলছিল। দেশের প্রথম প্যান ইন্ডিয়া মুভিটা সঠিক নিয়ম মেনে করতে চেয়েছি। তাই হয়তো সময়টা এদিক–সেদিক হয়েছে। তবে সব সময় শাকিব ভাই আমাকে আন্তরিক সাপোর্ট করেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন। তিনি শুধু আমাকে মন দিয়ে কাজটা করতে বলেছেন। আমিও কাজের মাধ্যমে সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে চাই। এটা বলতে পারি, “দরদ” এমন একটা ছবি হচ্ছে, যেটা বাংলাদেশ কখনো ভাবতে পারেনি।’
ছবির অন্যতম প্রযোজক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া গতকাল রাতে বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার, আমরা ভালো মানের একটা ছবি বানাতে চাই। সেভাবেই সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। শাকিব খানসহ আমরা কাল যাচ্ছি। বাকি খবরাখবর যথাসময়ে সবাই জানতে পারবেন।’
ছবিটি নিয়ে কথা হয় শাকিব খানের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘গল্পটা চমৎকার। এমন গল্পে এর আগে কাজ করা হয়নি। এটুকু বলতে পারি, “দরদ” দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের দারুণ কিছুর সূচনা হতে যাচ্ছে।’
‘দরদ’ ছবিটির প্রযোজনায় যৌথভাবে আছে ভারতের এসকে মুভিজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ এবং বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। বাংলা, হিন্দি, তামিল, মালয়ালমসহ ছয় ভাষায় ছবিটি মুক্তি পাবে। একযোগে ৩২ দেশে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পরিচালক ও প্রযোজক।