স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলা সিনেমার জয়জয়কার চলছেই। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে এর সব কটি শাখায় প্রদর্শিত হলিউড ও বাংলা ছবিগুলোর দর্শক–চাহিদা, শো–এর সংখ্যা ও আয়ের দিক থেকে এখনো বাংলা সিনেমা এগিয়ে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্টার সিনেপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে জুলাই মাসের সেরা ১০টি সিনেমার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে হলিউডের বড় বাজেটের ‘ওপেন হাইমার, ‘ইনসিডিয়াস–দ্য রেড ডোর, ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স, ‘বার্বি’র মতো সিনেমা পেছনে ফেলে ঢাকাই সিনেমা তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
তাদের তালিকায় আফরান নিশো-তমা মির্জা অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ প্রথম ও শাকিব খান-ইধিকা পাল অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ ছবিটি দ্বিতীয় স্থানে আছে। সেরা দশের ৬ নম্বরে আছে মাহফুজ আহমেদ-বুবলী অভিনীত ‘প্রহেলিকা’।
বাংলা সিনেমার এমন জোয়ারে খুশি সিনেপ্লেক্সের জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো এমনটিই চাই। বাংলা সিনেমার দর্শক যে নাই, সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সিনেপ্লেক্সের এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। গত এক মাসের দর্শক–চাহিদা, শো–এর সংখ্যা ও আয়ের দিক থেকে বাংলা সিনেমা ও হলিউডের ১০টি সিনেমার একটি তালিকা প্রকাশ করেছি আমরা।
সেখানে প্রথমে আছে “সুড়ঙ্গ” দ্বিতীয় স্থানে “প্রিয়তমা”। ৬ষ্ঠ অবস্থানে “প্রহেলিকা”। আমাদের প্রত্যাশা সারা বছরই সিনেপ্লেক্সের এমন চিত্র থাকবে। আমরা বাংলা সিনেমা নিয়ে আশাবাদী।’
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘ঈদের ছবির মুক্তির ৩৫ দিন হলো আজ। বিভিন্ন শাখায় ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘প্রিয়তমা’ ছবির এখনো হাউসফুলের খবর পাচ্ছি।’
এ দিকে মাসের সেরা ১০ সিনেমা নিয়ে এভাবে তালিকা প্রকাশ এবারই প্রথম স্টার সিনেপ্লেক্সের।
ওই কর্মকর্তার আরও বলেন, ‘এর আগে ‘মনপুরা’ ‘দেবী, ‘আয়নাবাজি’ কিংবা ‘পরান, ও ‘হাওয়া’ ছবিগুলোর কাছেও এভাবে হলিউডের সিনেমা পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু ওই সময় এভাবে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এবারই আমরা প্রথম স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত সিনেমাগুলোর দর্শক–চাহিদা, শো–এর সংখ্যা ও আয় হিসাব করে মাসের সেরা ১০ ছবির তালিকা প্রকাশ করেছি।’
জানা গেছে বর্তমান স্টার সিনেপ্লেক্সের সব কটি শাখা মিলে প্রতিদিন রায়হান রাফির ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির ১৪টি শো, হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’ ১৩টি ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’ ছবির দুটি করে শো চলছে।
বিষয়টিকে বাংলা সিনেমা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মনে করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ। তিনি বলেন, ‘এই তালিকা থেকে বাংলা সিনেমার জন্য একটা ভালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এটি বাংলা সিনেমার জন্য ভালো খবর। ছবিগুলো তরুণ লেখকের ছবি, তরুণ পরিচালকের ছবি। ছবিগুলো আমি আগেই সেন্সর বোর্ডে দেখেছি। তখনই তাদের কাজের ধারণা পেয়েছি। এই তরুণ মেধাবী পরিচালক, চিত্রনাট্যকাররা চলচ্চিত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নেবেন। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’