মাহি ও মিশা সওদাগর
মাহি ও মিশা সওদাগর

মিশা ভাইকে বলেছি, আমাকে ভাবার সময় দেন, দেখি: মাহি

বছর দেড়েক হলো বিনোদন অঙ্গন থেকে দূরে ছিলেন। রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে মিডিয়ার কাজের দিকে নজর দিয়েছেন মাহিয়া মাহি। এরই মধ্যে স্টেজ শো শুরু করেছেন। আগামী পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নানা ধরনের পণ্যের নিয়মিত ফটোশুটে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি সিনেমায় ফেরারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
আগামী ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎই ছড়িয়েছে, এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে মাহিয়া মাহি নির্বাচনে লড়বেন। বিষয়টির সত্যতা জানতে এদিন দুপুরে মাহির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথম আলোকে তিনি জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারটি এখনই চূড়ান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, ‘মিশা ভাই আমাকে তাঁদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। “হ্যাঁ”, “না” কিছুই বলিনি। মিশা ভাইকে বলেছি, আমাকে ভাবার সময় দেন, দেখি।’

নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঢাকাই ছবির এই নায়িকার ভাষ্য, ‘আমি টুকটাক জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চলতি বছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়েছিলাম। এখন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিলে আমার জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে লাভ হবে না ক্ষতি হবে, সে বিষয়টিও আমার মাথায় রাখতে হবে, ভাবতে হবে। এ জন্য মিশা ভাইয়ের কাছে সময় চেয়েছি। সবদিকে ভেবে শিগগিরই আমার সিদ্ধান্তের কথা জানাব।’

মাহিয়া মাহি

নির্বাচন করা বা রাজনীতির ব্যাপারে মাহির বক্তব্য, ‘আমি মনে করি মানুষ রাজনীতি করে, নির্বাচন করে দেশসেবা, জনসেবা করার জন্য। শিল্পী সমিতি থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে এসে শিল্পীদের স্বার্থে, শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব। এটিও একধরনের জনসেবার কাজ।’

মাহিয়া মাহি

শিল্পী সমিতির ২১ সদস্যের কমিটির কোন পদে মাহিকে নির্বাচনে দাঁড়াতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে জানাতে চাননি মাহি। তবে একটি সূত্র বলছে, মাহিকে মিশা-ডিপজল প্যানেলের হয়ে কার্যকরী নির্বাহী পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।