নায়ক হিসেবে প্রথম সিনেমাই শেষ সিনেমা হয়ে রইল এই কৌতুক অভিনেতার

১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা দেন দিলদার
১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা দেন দিলদার

উপমহাদেশের বাণিজ্যিক ছবিতে অনেক পরিচালকই তাঁদের ছবিতে ‘কমিক রিলিফ’ রাখতে পছন্দ করেন। ধন্ধুমার অ্যাকশন, গান আর নায়ক–নায়িকার প্রেমের রসায়নের মধ্যে দর্শকদের আরেকটু বৈচিত্র্যের স্বাদ দিতেই যেন এই আয়োজন। আশি–নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেছেন কৌতুক অভিনেতা দিলদার হোসেন। ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতা পর্দায় হাজির হলে হাসি আটকে রাখা মুশকিল হতো অনেকের। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা দেন দিলদার। অভিনয়ে আসার আগে তাঁর নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। অভিনয়ে এসেই কমেডিয়ান চরিত্র দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের মন। একটা সময়ে তো সিনেমার নায়ক–নায়িকাদের মতোই জনপ্রিয়তা ছিল প্রয়াত এই অভিনেতার। এই জনপ্রিয়তা তাঁকে তোজাম্মেল বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমার নায়ক বানিয়েছিল।

‘আব্দুল্লাহ’র ভিডিও সিডির প্রচ্ছদ

১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন। ছবিটিতে দিলদারের পারিশ্রমিক নিয়ে চুক্তিটা ছিল এমন—ছবি হিট হলে তিনি পারিশ্রমিক পাবেন, নয়তো পাবেন না! কেননা, প্রযোজক তাঁকে নায়ক বানিয়ে ঝুঁকি নিয়েছেন। সিনেমা হিট হয়। দর্শক মহলে সাড়াও ফেলেছিল সিনেমাটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিশ্রমিক পাননি তিনি।

নায়ক হিসেবে দিলদারের প্রথম সিনেমাও হিট

নায়ক হিসেবে প্রথম সিনেমা হিট। কিন্তু বিধি বাম। কিন্তু এরপর নায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার আর লম্বা করতে পারলেন না। কারণ ‘আব্দুল্লাহ’র শুটিং শেষ হওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলদার। অবশেষে ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মাত্র ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। ফলে ‘আব্দুল্লাহ’ হয়ে রইল নায়ক হিসেবে প্রথম ও শেষ সিনেমা।

মেয়ের সঙ্গে দিলদার

পাঁচ শর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। স্বীকৃতি বলতে ২০০৩ সালেই ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।