ভালোবেসে বিয়ে করলেও কয়েক বছরের মাথায় ভেঙে যায় শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসার। আব্রাহাম খান জয় নামের ছয় বছর বয়সী তাঁদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। সন্তানের বয়স যখন দুই বছর, তখনই তাঁদের বিচ্ছেদ। এরপর অপু বিশ্বাস বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাকিব খান ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ করেন। বিচ্ছেদের ছয় বছরের মাথায় তাঁর উপলব্ধি হয়েছে, আবেগের বশবর্তী হয়ে সেসব বলেছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলি, পরে তা শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে না। আমি তো চাইলেও সেটা মুছতে পারব না। আসলে যখন কথাগুলো বলেছিলাম, ওদের প্রতি রাগ ছিল, আমি একটু অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি ওদের (শাকিব খান ও তাঁর পরিবার) কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব ভাল মানুষ। আমি ভাগ্যবান তাদের পেয়েছি,আমার জীবনে বাবা-মায়ের ঘাটতি পূরণ করছেন...।’
সন্তান আব্রাহামের দুই বছরের মাথায় ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ হয় শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। শাকিব-অপু আলাদা হলেও সন্তানের দেখভালের বিষয়টা দুজনেই দেখেন। সম্প্রতি কলকাতায় গিয়ে ভারতীয় একটা গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস। এই সময় শাকিব প্রসঙ্গে আরও অনেক কথা বলেন তিনি।
আমাজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় শুরু করা অপু বিশ্বাস তাঁর দর্শকপ্রিয়তার কৃতিত্ব দিলেন শাকিব খানকে। এই চিত্রনায়িকা শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়ে ৮০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অপু জানালেন, শাকিব যদি তাঁর পাশে না থাকতেন, তাহলে তিনি আজকের এই অপু বিশ্বাস হতেন না। অপু বিশ্বাসের ক্যারিয়ারে যা অর্জন, এর শুধু ২০ শতাংশ তাঁর আর বাকি ৮০ শতাংশ কৃতিত্ব শাকিবের বলে জানান তিনি। আর এ কারণে শাকিবের প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি।
শাকিব ও অপু দুজনেই যখন কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন সন্তান আব্রাহামের দেখভাল কে করেন, এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাস জানান, তাঁরা না থাকলে জয়ের দেখাশোনা করেন তার ঠাকুমা, দাদু, পিসি। একটা সময় তাঁদের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ ছিল অপু বিশ্বাসের। কিন্তু এখন সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন অপু। এখন তিনি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে চান।
জয়ের মা, নাকি শাকিবের স্ত্রী হওয়া কঠিন, এমন প্রশ্নের জবাবে অপু ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে মা হয়েছি। তাই মা হওয়াটা খুব কঠিন।’ অপু বিশ্বাসের পর অনেক নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল শাকিব খানের। আর এই বিষয়টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অপু। তিনি জানান, নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে দু-একটা প্রেমের গুঞ্জন না থাকলে পর্দায় রোমান্স ফুটিয়ে তোলা যায় না। আর সুপারস্টার হলে তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন হবেই। এটি তাঁর কৃতিত্ব।