বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় নির্মাতা ও বোর্ড সদস্য কাজী হায়াতের গাড়ি আটকে রাখেন শাকিব খানের ভক্তরা। এ সময় এই নির্মাতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ভক্তদের। ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান কাজী হায়াতের ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। এরপরও থেমে নেই কাজী হায়াৎ ও মারুফকে নিয়ে বুলিং। বিষয়টি নিয়ে এবার সবার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়েছেন মারুফ। জানতে চেয়েছেন, চলচ্চিত্র সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য না হয়েও তাঁকে কেন বিদ্রূপের শিকার হতে হচ্ছে?
ফেসবুক পোস্টে মারুফ লিখেছেন, ‘কিছু প্রশ্নের উত্তর চাই। প্রথমত, আমি আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করি। আমি কি বাংলাদেশ সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য? আমি কি ‘‘বরবাদ” ছবির কেউ?
কার ছবি আসলো কার আসলো না, এতে আমার কি কোন লাভ/ক্ষতি আছে? আমি কি কোন ছবির প্রোমোশনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত? আমার কি কোন ছবি এই ঈদে বা আগামী ঈদে মুক্তি পাচ্ছে? তাহলে আমাকে কেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মানুষের বাজে কথা শুনতে হলো?’
পোস্টে আরও প্রশ্ন রেখে মারুফ লিখেছেন, ‘৭৮ বছর বয়সী একজন মানুষ কাজী হায়াৎ (আমার বাবা) একবার স্ট্রোক করেছেন, একবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা, নয়টা রিং পরা একজন মানুষ, তার গাড়ি আটকানো কেন হলো? সেন্সর বোর্ডে কি উনি একাই ছিলেন সদস্য? ছবির পরিচালক/প্রযোজক, বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কেন ভিতরে মিটিং করল না? তবে কি এটা পূর্বপরিকল্পিত ছিল?’
২৪ মার্চ ‘বরবাদ’ সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বোর্ডের সদস্য নির্মাতা কাজী হায়াৎ। সেদিন তিনি বলেন, ‘আজ ছবিটি দেখা হলো। কিছু কাটিং আছে। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে সংশোধন করে জমা দিলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সেন্সরে আবার কাটিংটা দেখে কালকের মধ্যেই সার্টিফিকেট প্রদান করবে।’ মূলত এরপরই এ নির্মাতার ওপর চটে যায় শাকিব খানের ভক্তরা।
আবার সিনেমাটি দেখে সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বের হওয়ার সময় কাজী হায়াতের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তখন এ নির্মাতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় শাকিব–ভক্তদের। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান চিত্রনায়ক ওমর সানী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল, নির্মাতা অনন্য মামুনসহ অনেকেই।