শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলো অনলাইনে অপু বিশ্বাসকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ‘কে কাকে ছোট করছে, সেই বোধবুদ্ধি আমার আছে’—এই শিরোনামে অপুর মন্তব্যে লেখাটি প্রকাশের প্রায় সাত ঘণ্টা পর তাঁর ফেসবুকে সাড়ে চার শ শব্দের লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। মুহূর্তে ভাইরাল স্ট্যাটাসটি। যদিও পোস্টটিতে বুবলী কারও নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু অনেকেই ধারণা করছেন, অপুর মন্তব্যের সূত্র ধরেই স্ট্যাটাসটি লিখেছেন বুবলী।
এই খবর লেখা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার লাইক, ৩ হাজার মন্তব্য ও ৬৬টি শেয়ার হয়েছে বুবলীর স্ট্যাটাসটি। তাঁর পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে দুই নায়িকার অনুসারী, ভক্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সাহানাজ পারভিন নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ওনার ফ্যামিলি শুধু তাকে আরেকজনের সংসার ভাঙার শিক্ষা দিয়েছে, অন্য সব দিক দিয়ে সুশিক্ষিত করেছে, এ জন্যই হালের সব বড়দের ওনার দলে নিয়ে দল ভারী করছে, এটাই পলিটিকস।’
সাহানাজের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে মেহেদি নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি ভুল বললেন বুঝেছেন। কারণ শাকিব বুবলীর কাছে সব লুকিয়ে রেখেছিল।’
এদিকে হাজারো মন্তব্যের মধ্যে আরফিন সামিয়া মন্তব্য করেছেন, ‘আপু, তুমি চুপ থাকলে মনে হয় ভালো। কারণ অপু বিশ্বাস সব সময় চায় তুমি রেগে যাও।’
তবে জনি তালুকদার নামের আরেক অনুসারী অপুর পক্ষ নিয়ে বুবলীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘একা পারবেন না জেনে, ফারিয়া, অনন্ত-বর্ষা, শাবানা, শাকিব খান, মালেক আফসারীর ভক্তদের এক করে অপু বিশ্বাসের পেছনে লাগছেন। এমনকি ধর্মের বিষয়টাও টেনে আনলেন। আপনার হচ্ছে শিক্ষিত বুদ্ধি।’
দুঃখের ইমোজি দিয়ে বুবলীকে উদ্দেশ করে ঊর্মি ইসলাম লিখেছেন, ‘চাইলেই কত ভালো ছেলেকে বিয়ে করতে পারতেন! এখন নিজের স্বামীর বাড়ি গিয়েও সেটার প্রমাণ করতে হয়। মানুষকে প্রমাণ দিতে হয় যে আমি আর আমার বাচ্চা শাকিব খানের বাড়ি গিয়েছিলাম। ব্যাপারটা সত্যি দুঃখজনক। শাকিবের চেয়ে ভালো স্বামী পেতেন, সে নিজের স্ত্রী সন্তানকে সমাজের কাছে সুন্দরভাবে পরিচয় দিতেন।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুবলীকে ইঙ্গিত করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘উনি যা যা করছেন বা করেন, তা তো আমার সন্তান দেখছেন। আমার সন্তানের তো বোঝার বয়স হয়ে গেছে। এখন জয়ের বয়সীরা অনলাইনে লেখাপড়া করে। আমি নাম বলব না, একজন তো একটা ভিডিও ছেড়েছেন। জয়ও সেই ভিডিও দেখেছে। সুতরাং এই সব ভিডিওতে তার ওপরও তো প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমি তো সেই কাজ করব না। আমি আমার সন্তানকে সঠিক পথে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব।’
অপুর বক্তব্য ছিল এমন, ‘আমি মনে করি, আমার পারিবারিক শিক্ষা মানুষকে সম্মান দেওয়া, ক্ষতি করা নয় এবং আমি সেটা করার চেষ্টা করি। কে কাকে ছোট করছে, সেই বোধবুদ্ধি আমার আছে। আমি অনেক দিন থেকেই এসব বিষয় নিয়ে মিডিয়া এড়িয়ে চলতে চেয়েছি। কিন্তু সিনেমার মানুষ হওয়ায় মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে টুকটাক তা সামনে চলে আসে।’
ভক্তরা মনে করছেন এই সূত্রে বুবলী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে একটি স্ট্যাটাস দেন। পোস্টটিতে সরাসরি কাউকে অভিযুক্ত না করলেও তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করলে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। বুবলী তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ, আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’