দুই দিন পর মুক্তি পাচ্ছে ‘ভুল ভুলাইয়া–৩’। মুক্তির আগে এখন চলছে জোর প্রচারণা। আজ বুধবার দুপুরে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজ ফেসবুক পেজে ‘ভুল ভুলাইয়া–৩’ ছবির একটি পোস্টার কভার ফটো হিসেবে পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘মুক্তির আর মাত্র দুদিন। অগ্রিম বুকিং এখন চালু আছে।’ ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি অনুসারীর পেজ থেকে পোস্ট করা ‘ভুল ভুলাইয়া–৩’ ছবির বুকিং আহ্বানে একের পর এক মন্তব্য আসছে বাংলাদেশি সিনেমা নিয়ে। মন্তব্যের ঘরে সবাই খুঁজছেন শাকিব খানের ‘দরদ’ সিনেমার গান।
আনিস বাজমি পরিচালিত ‘ভুল ভুলাইয়া–৩’ ছবির মিউজিক্যাল স্বত্ব টি-সিরিজের। ১ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাওয়া কার্তিক-তৃপ্তির এই ছবির গান থেকে মুনাফা হবে বলে আশা করছে টি-সিরিজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাংলাদেশের ‘দরদ’ ছবির গানও প্রকাশের কথা ভারতের নামকরা প্রতিষ্ঠান টি–সিরিজ থেকে, এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক অনন্য মামুন। টি–সিরিজ থেকে ‘দরদ’ ছবির গান আসবে, এমন খবরে শাকিব–ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়। আগামী ১৫ নভেম্বর ‘দরদ’ ২২ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির খবরও জানিয়েছেন পরিচালক। দুই সপ্তাহের মতো বাকি থাকলেও এর মধ্যে ট্রেলার আর কয়েকটি লুক ছাড়া কিছুই প্রকাশ করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ওপর।
টি–সিরিজ ফেসবুক পেজে ‘ভুল ভুলাইয়া–৩’ ছবির পোস্টে দুই ঘণ্টায় ৯ শতাধিক মন্তব্য এসেছে। বেশির ভাগ মন্তব্য শাকিব খান ও তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘দরদ’ ছবিটি ঘিরে। মন্তব্যকারীদের বেশির ভাগই ‘দরদ’ ছবির গান প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন। আশিক ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘কখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের গান প্রকাশিত হবে? আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। যত দ্রুত সম্ভব গান প্রকাশ করা হোক।’
সাইফুল্লাহ নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি জানি না, আপনি আমাদের মেগাস্টার সম্পর্কে অবগত আছেন কি না। তবে বিজয় থালাপতির সঙ্গে শাকিব খানের তুলনা করতেই পারেন। শাকিব খানের উন্মাদনা সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং তিনি সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয়। আসন্ন “দরদ” সিনেমার জন্য শুভকামনা। আশা করছি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।’ শামসুল আলম নামের একজন লিখেছেন, ‘মন্তব্যের ঘর দেখে আমি অবাক। শাকিব খান নিয়ে উন্মাদনা অন্য লেভেলের। “দরদ” ছবির গান যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করা উচিত।’
১৫ নভেম্বর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘দরদ’ ছবিতে শাকিব ছাড়াও আছেন বলিউডের সোনাল চৌহান এবং টলিউডের পায়েল সরকার। বারানসি শহরে হঠাৎ করে একের পর এক খুন। প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরা খুনির তালিকায়। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরপর খুন হতেই নড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। আর এ তদন্তে উঠে আসে দুলু মিয়ার নাম। দুলু মিয়া পেশায় অটোচালক। সে-ই কি ‘সিরিয়াল কিলিং’-এর নেপথ্যে? এমন গল্প নিয়ে নির্মিত ছবির ট্রেলার অন্তর্জালে সাড়া ফেলেছে।