ঢাকাই সিনেমার আলোচিত–সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৮ জুন রাজধানীর বোট ক্লাবে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন নায়িকা। এ অভিযোগে মামলাও করেছিলেন। এর পর থেকেই পরীমনির বোট ক্লাব–কাণ্ড টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর সঙ্গে হওয়া হেনস্তার বর্ণনাও দিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলে উল্টো ফেঁসে যান পরীও। পরীমনির বাসায়ও চালানো হয় অভিযান। সেটি তিনি লাইভ করে ভক্ত-অনুরাগীদেরও দেখিয়েছিলেন।
ওই বছরের ৪ আগস্ট নিজ বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের দিনও লাইভে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন পরী। কিন্তু সেদিন শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য চেয়েও রেহাই পাননি তিনি।
গ্রেপ্তারের পর পরীকে তিন দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। পরে ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান পরীমনি। কিন্তু গ্রেপ্তারের দিনটি এখনো পরীর জীবনের কালরাত। সেই ৫ আগস্টের কথা এখনো ভুলতে পারছেন না নায়িকা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পতনের পরই সেই ভয়াল ৫ আগস্টের স্মৃতিচারণা করেছেন এই নায়িকা। এ দুটি ঘটনার মধ্যেই যোগসূত্র খুঁজে পরীমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘তিন বছর আগে এই ৫ আগস্ট যেভাবে আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। প্রকৃতি হিসাব রাখে মা।’ সঙ্গে জুড়ে দেন বাংলাদেশের পতাকা।
শুরু থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। তাই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘শান্তি চাই! লুটপাট, থানা আক্রমণ, প্রতিহিংসা চাই না! আমরা সংযত হই, দায়িত্ববান হই। প্রিয় বাংলাদেশে আর রক্তপাত চাই না।’ গত ১৫ জুলাইয়েও পরীমনি লিখেছিলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতায় আপনার জবান বন্ধ থাকলে আপনি মুনাফিক।’
সামনে পরীমনি অভিনীত ‘রঙিলা কিতাব’ এবং কলকাতার সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ‘ফেলুবক্সী’তে তাঁর বিপরীতে আছেন টালিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। পাশাপাশি দেখা যাবে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকেও।