একসময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের পরিচিত নাম কাজী মারুফ। অনেক সফল বাণিজ্যিক ঢাকাই সিনেমার নির্মাতা কাজী হায়াতের পুত্র কাজী মারুফ নিয়মিত ছিলেন সিনেমায়। ২০০২ সালে বাবা কাজী হায়াতের ‘ইতিহাস’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন মারুফ। প্রথম চলচ্চিত্রেই নজরকাড়া অভিনয় করে সেরা অভিনেতা বিভাগে বাগিয়ে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৩৩টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মারুফ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। এবার নতুন খবর নিয়ে এলেন এই অভিনেতা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন মারুফ। সেখানেই ‘গ্রিন কার্ড’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।
ফিল্ম ফ্যাক্টরির ব্যানারে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় নির্মিত হয়েছে এটি। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন মারুফ।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে ঢাকার একটি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিকে সিনেমা নিয়ে কথা বলেন সারুফ। তিনি জানান, ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তাঁর দাবি, এটিই প্রথম বাংলা সিনেমা, যার পুরোপুরি দৃশ্যধারণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালিদের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বর্তমানে এটির মুক্তির জন্য প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজী মারুফ বলেন, ‘কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জের। দীর্ঘ দিন পর অভিনয়ে ফিরছি। পরিচালনায় আসার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বাবা যেহেতু এখানে নেই, সে জন্য এই মহান দায়িত্ব হাতে নিয়েছি। গল্পটি যেহেতু আমার জীবনের সঙ্গে জড়িত, আশা করছি, মনের আড়ালের গল্পটি দর্শকেরা এবার বড় পর্দায় দেখতে পারবেন।’
কবে নাগাদ ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমাটির মুক্তি দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মারুফ বলেন, ‘চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরব। দেশে ফিরেই সিনেমাটি মুক্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।’
‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন মারুফ। সিনেমাটি নির্মাণে এই অভিনেতার সঙ্গে পরিচালনায় আরও ছিলেন রওশন আরা নিপা। অনলাইনে পরামর্শ দিয়েছেন মারুফের বাবা নির্মাতা কাজী হায়াৎ।
সিনেমায় মারুফের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি মডেল, ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার নুসরাত তিসাম ও নাজিদা সৈয়দ।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নওশীন, হিল্লোল, শিরিন বকুল, শিশুশিল্পী কাজী আরিশা, আকাশ রহমান, রাফি আহমেদ প্রমুখ।