গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে বানিয়েছেন ‘কাজলরেখা’। কোলাজ
গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে বানিয়েছেন  ‘কাজলরেখা’। কোলাজ

‘রাজকুমার’-এর সঙ্গে ‘কাজলরেখা’র টিকে থাকা প্রশ্নে সেলিমের বক্তব্য

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে ঢালিউডের এক ডজন সিনেমা। এর মধ্যে আছে গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যের হিরণ্ময় স্মারক ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে বানানো হয়েছে চলচ্চিত্রটি। তবে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় শুরু থেকেই হলসংকটে পড়েছিল ‘কাজলরেখা’; যা নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন নির্মাতা। এবার ‘কাজলরেখা’ নিয়ে বেসরকারি চ্যানেল দেশ টেলিভিশনের সঙ্গেও কথা বলেছেন সেলিম।
বাণিজ্যিক ধারা, বিশেষ করে ‘রাজকুমার’ সিনেমার সঙ্গে গ্রামীণ ঐতিহ্যের ‘কাজলরেখা’ কতটুকু টিকে থাকবে, এ প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘এটা আসলে আমার বলার কিছু নেই, দর্শক বলবেন, সময় বলবে; এটা আসলে টিকে থাকার কিছু নয়। দর্শকদের যে সিনেমা ভালো লাগবে, সেটাই দেখবেন। এ ক্ষেত্রে আমি নির্ভার। কোনো রকম টেনশন করে তো দুই পয়সা লাভ নেই।’

‘কাজলরেখা’ সিনেমার শুটিংয়ে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম

ঈদের সময় বাণিজ্যিক সিনেমায় নাচগান ও মারামারির বিষয়টা থাকে। পাশাপাশি ঈদে এমন ধরনের সিনেমা আসা প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যিক সিনেমাই করেছি। অনেক বছরের পুরোনো গল্পও মানুষ গ্রহণ করছেন। পাশাপাশি ঈদের সিনেমার ধরন কে ঠিক করবে আসলে?

‘কাজলরেখা’ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম

মানে, এ রকম হলে ঈদে চলবে, নাহলে চলবে না! বিষয়টা কী আসলে আমি জানি না। তা ছাড়া ঈদে এই সিনেমা মুক্তি দেব, এ রকম কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ঈদে এই সিনেমা আমরা মুক্তি দিইনি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, বাঙালির একটা উৎসব। তো বৈশাখ ও ঈদ একই সপ্তাহে পড়েছে। দুটিই কিন্তু বাঙালির বড় উৎসব। প্রচারণা শুরু হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এটা একটি বাঙালির সিনেমা, ঐতিহ্যের সিনেমা। আমাদের জাতির যা যা গুরুত্বপূর্ণ, সবকিছুর ছোঁয়া আছে এই সিনেমায়। তো যাঁরা বলেন এটা ঈদের ছবি নয়, তাঁদের বলব, হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখুন।’