ছেলেকে নিয়ে পরীমনি
ছেলেকে নিয়ে পরীমনি

ছেলে কীভাবে আহত হয়েছে, জানে না পরীর বাসার কেউ!

পরীর জীবনের পূর্ণতা তাঁর ছোট্ট পদ্ম পুণ্য। অভিনেতা রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে কাটছে নায়িকার দিন। কিন্তু হঠাৎই দুঃসংবাদ। বুধবার রাতে আহত অবস্থায় ছেলে পুণ্যের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন অভিনেত্রী। ছবিতে দেখা গেছে, পুণ্যের একটি চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে আছে প্রায়, ওপরের দিকটা লাল।

পুণ্যের ছবি প্রকাশ করে পরী জানান, ‘দুর্ঘটনা’। তখন বিস্তারিত না জানালেও ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কীভাবে হলো ছোট্ট পুণ্যের এমন অবস্থা। এরপর আজ ভোরে পুরো ঘটনা খোলাসা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন অভিনেত্রী। নায়িকা জানালেন, তার বাসায় না থাকার অনুপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে বাড়িতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা কেউ স্বীকার করছেন না, কীভাবে ব্যথা পেয়েছে পুণ্য।

পরীমনি ও তাঁর সন্তান

পরীমনি লেখেন, ‘আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ “রঙ্গিলা কিতাব”-এর ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিল। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইনি। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো, আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত হট্টগোলের সামনে পড়ুক। দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দায়িত্বরত তিনজন মানুষের একটা পরিপূর্ণ দায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি অকৃতকার্য! আমার ছেলেটা আহত।’ তবে কীভাবে ছেলে ব্যথা পেয়েছে, এখনো জানতে পারেননি পরী।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি, ছেলে কীভাবে আহত হয়েছে? কেউই সত্যি/ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানি না। কই কি হইছে দেখি তো!’

‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর ট্রেলার প্রকাশ মঞ্চে পরী

পরীমনি বলেন, ‘আমি একটা পর্যায়ে আমার নিয়ন্ত্রণ হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছা হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ, ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।’
পরে ঘুম থেকে উঠে পরী দেখতে পান ছেলের এক চোখ আর খুলছে না! অভিনেত্রী লিখেছেন, তখন কী করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি...এত অসহায় লাগছিল আমার!’

পরীমনি ও তাঁর সন্তান

তবে বর্তমানে ছেলে সুস্থ আছে উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যা–ই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কী করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এত ধৈর্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে..! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’