ঢাকায় এসে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ডিওএইচএসের বাসায় এক দিনের অতিথি হলেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটি অনুষ্ঠানে গতকাল শুক্রবার তিনি ঢাকায় আসেন। এসেই বন্ধু ফেরদৌসের বাসায় ওঠেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ১৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঋতুপর্ণার এবারের ঢাকায় আসা। রাতে ক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে ফেরদৌসের সঙ্গে তাঁর বাসায় যান অভিনেত্রী। ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক দিন পর যেহেতু ঋতু ঢাকায় আসছে, তাই বললাম, বাইরে কোথাও থাকার দরকার নেই। এক দিনের জন্য আমার বাড়ির অতিথি হিসেবে তাঁকে দাওয়াত দিই। সেও সানন্দে আমার দাওয়াত গ্রহণ করে। দুই বন্ধুর অনেক দিন পর চমৎকার একটা আড্ডাও হলো।’
ভারতীয় পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে বাংলাদেশি ফেরদৌসের। এই একটি চলচ্চিত্র তাঁকে দুই বাংলায় দারুণ একটা অবস্থান করে দেয়।
এরপর ঢাকা ও কলকাতায় সমানতালে কাজ করতে থাকেন। কাজের সূত্রে ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে চমৎকার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। পেশাদার সম্পর্ক ছাপিয়ে তা দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই একে অপরের বাড়িতে অতিথিও হন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ফেরদৌসের বাসায় অতিথি হলেন ঋতুপর্ণা।
ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা প্রথম অভিনয় করেন ‘ওস্তাদ’ নামের একটি চলচ্চিত্রে। এরপর তাঁরা জুটি হয়ে কলকাতায় ৩০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ঋতুপর্ণা জানালেন, তাঁর আর প্রসেনজিতের একসঙ্গে ৫০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করা হয়েছে। আর ফেরদৌসের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। কাজ করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা একটা সময় দুই পরিবারের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। ফেরদৌসের মতো এত অসাধারণ বন্ধু পাওয়াটা ভীষণ আনন্দের বলেও জানালেন অভিনেত্রী।
‘ওস্তাদ’ ছাড়া ফেরদৌস–ঋতুপর্ণা জুটির অন্য ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘আমাদের সংসার’, ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘সাগর কিনারে’, ‘ভালো মেয়ে মন্দ মেয়ে’, ‘ঝরা হাওয়া’, ‘আকর্ষণ’, ‘বউমা জিন্দাবাদ’, ‘প্রতিহিংসা’, ‘ক্যামব্যাক’, ‘খাঁচা’, ‘ফুল আর পাথর’, ‘জনম জনমের সাথী’ ও ‘আরও একবার’।
ফেরদৌস প্রযোজিত ‘এক কাপ চা’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন ঋতুপর্ণা। এ মূহূর্তে তাঁরা দুজন বাংলাদেশের আরও দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। একটি ‘জ্যাম’, অন্যটি ‘গাংচিল’। দুটি চলচ্চিত্রের পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ।
আজ সকালে প্রথম আলোকে ঋতুপর্ণা জানালেন, ‘বাংলাদেশে বরাবরই অন্য রকম একটা আতিথেয়তা পাই। অসাধারণ মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাই।’ এবারও এখন পর্যন্ত সে রকমই মুগ্ধতার মধ্যে আছেন। রাতের ফ্লাইটে ঋতুপর্ণার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। তবে এখান থেকে তিনি কলকাতায় নয়, যাবেন সিঙ্গাপুরে।