বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী, মা নীলা চৌধুরী ও ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভানের সঙ্গে ছবির ডানে দাঁড়ানো কিশোরের নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, যিনি সালমান শাহ বলে পরিচিতি পেয়েছেন।
বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী, মা নীলা চৌধুরী ও ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভানের সঙ্গে ছবির ডানে দাঁড়ানো কিশোরের নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, যিনি সালমান শাহ বলে পরিচিতি পেয়েছেন।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স ৫১ পূর্ণ হতো।(পেছনে দাঁড়ানো)
বিজ্ঞাপন
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর। প্রথম সিনেমায়ই রাজসিক পদার্পণ ঘটে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিজ্ঞাপন
মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে করেছেন ১৪টি সিনেমা।সালমানের এক জন্মদিনে শাবনূর লিখেছিলেন, ‘সালমান শাহ এমন একটি নাম, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি সোনালি সময়। অতি অল্প সময় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে, সেই সময়টুকু অগণিত ভক্তের কাছে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। প্রতিবছর এই দিনে কোটি ভক্তের হৃদয়ে আলোড়িত করে, সালমান শাহ ফিরে আসেন ক্ষণিকের জন্য। অকাতর ভালোবাসার অঞ্জলি নিয়ে ফিরে যান অযুত নক্ষত্রের ভিড়ে। ভালো থেকো প্রতিদিন সালমান শাহ।’ শাবনূর ছাড়াও মৌসুমী, শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চির সঙ্গে অভিনয় করেছেন সালমান।সালমান শাহ ছিলেন ফ্যাশনসচেতন। মাথায় রুমাল বাঁধার স্টাইল তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।চার বছরের ক্যারিয়ারে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ২৭টি সিনেমা উপহার দিয়েছেন সালমান।১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর না–ফেরার দেশে চলে যান সালমান শাহ। ঢাকার ইস্কাটনে তাঁর নিজ বাসভবনে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।