অপু বিশ্বাস
অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাসের রূপের রহস্য আর খাদ্যাভ্যাস জানেন কি

ভক্তরা তাঁকে ঢালিউড কুইন বলেন। আজকাল অবশ্য শুটিং কম; বরং সব সময় সাবেক স্বামী শাকিব খান আর সন্তান আবরাম খান জয়কে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন অপু বিশ্বাস। এর মধ্যে কখনো কখনো চলে আসে সাবেক শাশুড়ি, ননদের গল্পও। পাশাপাশি শাকিব খানের সন্তান বীরের মা অভিনেত্রী শবনম বুবলীকে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার শাকিব, জয়, বুবলীর প্রসঙ্গকে একটু পাশে রেখে বললেন নিজের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস নিয়েও।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজের রূপের রহস্য জানালেন অভিনেত্রী। নিজের জীবনযাপন ও খাদ্যতালিকায় কী কী রাখেন—প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আইস ফেসিয়ালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তুমি খেয়াল করে দেখবে, আমরা যখন একটা ফেসিয়াল করি, তখন মুখে গরম ভাপ দেওয়া হয়। সেটা মুখের লোমকূপগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য। আইস মাস্কটাও ঠিক সে রকমই উজ্জ্বলতার কাজ করে। যেহেতু আমরা নিয়মিত মেকআপ করি, সে জন্য বরফটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

অপু বিশ্বাস

অপু বলেন, ‘খাবারের অভ্যাসটাও গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তবে আমি বলিউডের কাউকে দেখে খাব, এটা ভুল। আমার সমস্যা থাকতে পারে, যেমন ধরো কারও থাইরয়েড সমস্যা থাকতে পারে, কারও ডায়াবেটিস আছে। এই দুটো সমস্যা থাকলে তাকে কিন্তু বেশ কয়েকটি খাবার পরিহার করতে হবে। আবার কারও এগুলো নেই, তাকে অনেক খাবার যোগ করতে হয়। এই বিষয়গুলো আমার মনে হয় চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে ঠিকঠাকভাবে খাওয়াদাওয়া করা উচিত। আর আমি কাঁচা হলুদটা বেশি খাই, এটা আমার খুব পছন্দ। এটা অনেক আগের অভ্যাস। মা খেতেন, আমাকে খাওয়াতেন।’

‘লাল শাড়ি’ চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাস

ঈদের সময় কীভাবে মেইনটেইন করেন নিজেকে—প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘ঈদে যত কিছুই খাওয়া হোক না কেন, আমার মনে হয়, সন্ধ্যা সাতটার আগেই শেষ করা দরকার। আমি এ রকমই। যেমন বোম্বেতে কারিনা কাপুর খান, তার প্যাটার্নটা এমন। সে নিশ্চয়ই এক্স–ওয়াই–জেড শিল্পীর মতো হতে যাবে না। একেকটা নায়িকা তাকে নিজের মতো সৃষ্টি করে। আমি সুস্থ ও ভালো আছি। গরম পানিতে লেবু দিয়ে খাওয়া হয়। টক দই খেলেও খারাপ চর্বি কমে যায়।’
বলে নেওয়া ভালো, স্বাস্থ্য ও রূপচর্চাবিষয়ক সব পরামর্শই একান্ত অপু বিশ্বাসের।