বাবা বরেণ্য অভিনেতা বুলবুল আহমেদের বায়োপিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এ বায়োপিকে বুলবুল আহমেদের পুরো জীবনের গল্প উঠে আসবে এ সিনেমায়। তাঁর ছোটবেলা থেকে শুরু করে ব্যাংকে চাকরি করা, অভিনয়জীবন—সবকিছুই দেখানো হবে। ইতিমধ্যে গল্প চূড়ান্ত করেছেন ঐন্দ্রিলা। শিগগিরই শুরু করবেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঐন্দ্রিলা বলেছেন, ‘আব্বুর চলচ্চিত্রজীবন বিশাল ও বর্ণাঢ্য। তাঁর জীবনে অনেক মজার মজার ঘটনাও রয়েছে। সেগুলোও দেখাতে চাই। এ কারণে বায়োপিকটি বড় আয়োজন করে বানাতে চাই। কোনো তাড়াহুড়া করতে চাইছি না। আশা করছি আব্বুর জীবনের গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারব।’
প্রস্তাবিত এ চলচ্চিত্রে একাধিক অভিনেতাকে বুলবুল আহমেদের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে বলে জানান ঐন্দ্রিলা। তিনি বলেন, ‘এখানে যেহেতু তাঁর জীবনের অনেকগুলো পর্যায় দেখানো হবে, তাই ভিন্ন ভিন্ন বয়সে ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতাকে দেখা যাবে। চিত্রনাট্য সম্পন্ন হওয়ার পরে অভিনয়শিল্পীদের তালিকা চূড়ান্ত করব।’
এর আগে ২০১০ সালে বুলবুল আহমেদকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সিনেমা বানানোর সময় সেই অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি। ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘আব্বুকে নিয়ে বানানো ডকুমেন্টারিটি সবাই পছন্দ করেছিল। এখনো তাঁর জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীর সময় চ্যানেল আইয়ে এটি প্রচারিত হয়। সেই নির্মাণ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিনেমাটি আরও ভালো করতে চাই। এ ছাড়া আমি সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চাই।’
১৯৫৮ সালে মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু বুলবুল আহমেদের। টেলিভিশনে অভিষেক হয় ১৯৬৮ সালে আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘পূর্বাভাস’ নাটক দিয়ে । সিনেমায় নাম লেখান ১৯৭৩ সালে, আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘মোহনা’, ‘মহানায়ক’, ‘ওয়াদা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দেবদাস’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বদনাম’, ‘দুই জীবন’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ইত্যাদি।
১৯৭৬ সালে আলমগীর কবির পরিচালিত ‘সূর্যকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জহির রায়হান পুরস্কার লাভ করেন তিনি। চারবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই প্রয়াত হন অভিনেতা বুলবুল আহমেদ।