পরীমনি ও রাজ। কোলাজ
পরীমনি ও রাজ। কোলাজ

ভয়ংকর একজন মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি: ফেসবুকে পরীমনি

দুদিন আগে চিত্রনায়ক শরীফুল রাজকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বুধবার সকালে নোটিশ পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি রাজ ও পরীমনি কেউই। তবে সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি। লিখেছেন একটি পোস্ট, তাতে তিনি বলেছেন, রাজ তাঁর সঙ্গে যে অন্যায়গুলো করেছেন, তাতে তাঁর জেল হওয়ার কথা।

চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ কিছুদিন ধরে ‘ওমর’ নামে নতুন একটি ছবির শুটিং করছিলেন। এদিকে পরীমনিও নতুন দুটি ওয়েব ফিল্ম এবং একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খবরে এসেছিলেন। কোনোটিতে এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, আর কোনোটিতে কয়েক দিনের মধ্যে হবেন। দুজনই যখন পেশাগত কাজের খবরে ভক্তদের আলোচনায়, ঠিক তখনই আবারও ব্যক্তিগত কারণে খবরের শিরোনাম হলেন তাঁরা। ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকের নোটিশ ইস্যু করেছেন পরীমনি।

ফেসবুকে পোস্ট করা পুরোনো পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ওয়ালে শেয়ার করে পরীমনি লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলেট করে দিয়েছিল।

শরিফুল রাজ– পরীমনি

তারপর এসব ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে। বারবার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও, আর হবে না—এমনকি সুইসাইড–এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায়, আমি জানি না।’

পরীমনি আরও লিখেছেন, ‘আমি সব ভুলে সুন্দর–স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্ককে অওন করেনি। সবার সামনে আমার বউ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন, যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহারই করে গেল। প্রতিনিয়ত! আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। সে–ও সুযোগ পেত, কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।’

সবশেষে পরীমনি বলেছেন, ‘আমি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক নিয়মে। এটাও তাকে আমার একপ্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে, তাতে তার জেল হওয়ার কথা।’

রাজ ও পরীমনি

সবাইকে এ–ও বলতে চাই, ‘আমার ছেলের যাবতীয় খরচ—মানে ভরণপোষণ থেকে শুরু করে, আগামী দিনে পড়াশোনা যা কিছু আছে সবই আমি বহন করব। এত দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল অভিভাবকত্ব এখন তার মায়ের। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।’