‘সোনার চর’ সিনেমার দৃশ্যে জায়েদ খান। ছবি : ফেসবকু থেকে
‘সোনার চর’ সিনেমার দৃশ্যে জায়েদ খান। ছবি : ফেসবকু থেকে

সেদিন কনকনে শীতের সকালে কাদায় গড়াগড়ি খেয়েছি: জায়েদ খান

শুটিংয়ের প্রয়োজনে কনকনে শীতের মধ্যে সকালে কাদায় নামতে হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, কাদায় গড়াগড়িও দিতে হয়। সেই দৃশ্যের কিছু স্থিরচিত্র ফেসবুকে প্রকাশ পেলে সেটা নিয়ে অনেকে ট্রল করে। অথচ সেই দৃশ্যগুলোর জন্যই এখন প্রশংসিত হচ্ছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যে সিনেমার শুটিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই সিনেমার নাম ‘সোনার চর’। সিনেমাটি সেন্সর সনদ পেয়েছে।

জায়েদ অভিনীত সেই দৃশ্য ছিল ‘সোনার চর’ সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটি দৃশ্য। দৃশ্যটি দিয়ে যে আবেগ তুলে ধরা হয়েছে, অনেকে এটা বুঝতে পারেনি বলে মনে করেন জায়েদ। সিনেমাটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা এ দৃশ্যসহ সিনেমাটির বেশ কিছু দৃশ্যের প্রশংসা করছেন। গল্পটি তাঁদের ভালো লেগেছে।’

জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ সিনেমা বিনা কর্তনে সেন্সর সনদ পেয়েছে বলেও জানান জায়েদ। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫-এর পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে সিনেমার গল্প। জায়েদ সিনেমাটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ফেরারি আসামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘সোনার চর’ সিনেমার দৃশ্যে জায়েদ খান। ছবি : ফেসবকু থেকে

জায়েদ বলেন, ‘গ্রামীণ পটভূমির এই গল্পের প্রয়োজনে আমাকে কখনো লুঙ্গি–গামছা নিয়ে ক্যামেরার সামনে হাজির হতে হয়েছে। সেই আমলের ড্রেসআপ ছিল। দুই বছর ধরে চুল বড় করেছি। এ লুকগুলো সামনে এলে অনেকেই ট্রল করে। বিশেষ করে একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে কাদায় গড়াগড়ি খেতে হয়েছে। ওই দৃশ্যটির শুটিং হয়েছিল শীতের সময়। কনকনে শীতের সকাল আটটায় কাদায় গড়াগড়ি খেয়েছি, সেটাই এখন প্রশংসা পাচ্ছে। আমি জানতাম, এখানে অভিনয় ভালো করেছি। কিন্তু অনেকের স্বভাব কোনো কিছু বিচার না করে একটা মন্তব্য করে ফেলে। আপনাদের অনুরোধ করব, সিনেমাটি দেখুন।’

‘সোনার চর’ সিনেমা সেন্সর সনদ পাওয়ার খবর ভাগাভাগি করে জায়েদ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি সিনেমাটি আনকাট সেন্সর পেয়েছে। নতুন বছরে এটা বড় একটা খুশির সংবাদ। সেন্সর বোর্ডের অরুণা (বিশ্বাস) দিদিসহ অনেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন।

জায়েদ খান

এটাও বড় প্রাপ্তি। দর্শক সিনেমাটি যখন দেখবেন, সেখানে অন্য এক জায়েদ খানকে দেখবেন। আরেকটা কথা, এটা বানিয়েছেন আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ভালো একজন নির্মাতা জাহিদ হোসেন ভাই। মৌসুমী, ওমর সানী ভাই অভিনয় করেছেন। সব মিলিয়ে সিনেমাটি নিয়ে আমরা আশাবাদী।’

কখনো ডিগবাজি, কখনো বিয়ে, কখনো প্রেম নিয়ে মন্তব্য করেন। সেগুলো নিয়ে নানাভাবে ট্রলের শিকার হতে হয় জায়েদ খানকে। সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নন জায়েদ খান। তিনি নিজের মতো করে কাজ করে যেতে চান। ‘মানুষ তো নানাভাবে ট্রল করে। কিন্তু তাদের উচিত একজন শিল্পীর কাজগুলো নিয়ে কথা বলা। এ বছর আমার আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পাবে। আশা করি তারা সেগুলো দেখবে’—বলেন জায়েদ।

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘পুরো বছর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকব। নতুন সিনেমায় কাজ করব। এ ছাড়া দেশ–বিদেশে অনেক স্টেজ প্রোগ্রাম রয়েছে, সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকব।’ উল্লেখ্য, ‘সোনার চর’ চলতি বছরে মুক্তি পাওয়ার কথা।