‘ওসিডি’ ছবিতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বেশ কিছুদিন আগে ছবির শুটিং শেষ হলেও এখনো মুক্তির তারিখ জানা যায়নি। তবে কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। প্রশংসাও কুড়িয়েছে। ভারতীয় পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল তাঁর ছবিটি সম্পর্কে ধারণা দিতে ১৬ সেকেন্ডের একটি টিজার প্রকাশ্যে এনেছেন, যা জয়ার ফেসবুক ওয়ালে শোভা পাচ্ছে। জানা গেছে, জয়ার জন্মদিন উপলক্ষে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের আজ জন্মদিন। দুই দেশের বিনোদন অঙ্গনে তাঁর সহকর্মীদের পাশাপাশি ভক্তরাও ফেসবুকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের বিশেষ উপহারও দিলেন এই অভিনেত্রী। প্রকাশ করেছেন ‘ওসিডি’র একঝলক! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ‘ওসিডি’ ছবির টিজার ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে ওসিডি…। এবার প্রাণপণে সরাবে জঞ্জাল!’
ওসিডি সিনেমার পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া। তাঁর চরিত্রের নাম শ্বেতা। করোনাকালে লকডাউনের মধ্যে গল্পটি মাথায় আসে পরিচালকের। ওসিডি অর্থ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার। এ সমস্যায় শ্বেতা ভুগছেন কি না, সেই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে শ্বেতার চরিত্র। এটি মূলত সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। এক সংবাদ সম্মেলনে ছবির পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল বলেছিলেন, ‘জয়ার জন্য ও জয়ার কথা মাথায় রেখে ছবির গল্প লিখেছি। ছবিটি তৈরি করেছি। আমি মনে করেছি, এ ছবির উপযুক্ত অভিনেত্রী হতে পারেন জয়া আহসানই। আর সত্যিই প্রমাণ করেছেন, ছবির জন্য জয়া আহসানই সঠিক বাছাই। আমি জয়ার অভিনয় দেখে মুগ্ধ। তাই তো সত্যিই মনে হচ্ছে, আমি ঠিক অভিনেত্রীকেই বাছতে পেরেছিলাম।’
একই সংবাদ সম্মেলনে জয়া আহসান বলেছিলেন, ‘পরিচালক যখন আমাকে এ ছবির জন্য মনোনীত করে প্রস্তাব পাঠান, আমি সেই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিই। সত্যি কথা বলতে, আমি মন খুলে অভিনয় করেছি। তৃপ্ত হয়েছি। ভালো লেগেছে।’ ‘ওসিডি’র পূর্ণাঙ্গ রূপ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার। এটি একধরনের মনোরোগ। ছবিতে মানসিক ভারসাম্যহীন চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া। ওসিডি সম্বন্ধে কতটা ভাবাল, সজাগ করল? জয়ার কোনো বাতিক আছে—এমন প্রশ্নে জয়ার উত্তর বলেন, ‘ভাগ্যিস, আমার কোনো বাতিক নেই!’ সৌকর্য ঘোষালের পরিচালনায় এর আগে ‘ভূতপরী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া।