গত বৃহস্পতিবার বিশ্বের ৪০ নাগরিকের সঙ্গে ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন ঢালিউডের আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। তিনি জানালেন গত বুধবার থেকে নির্ঘুম রাত কেটেছে তাঁর। কারণ, এই প্রথম তিনি ‘আন্তর্জাতিক’ সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন। সেই সম্মাননা তিনি হাতে তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউনাইটেড ন্যাশনসের (ইউএন) হেডকোয়ার্টার থেকে। সব মিলিয়ে জায়েদের কাছে জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হয়ে রইল ২০ জুলাই সন্ধ্যা।
শুক্রবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, আমেরিকায় জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছেন জায়েদ খান। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জায়েদ খানকে পুরস্কার দেওয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া করে বিভিন্নজনকে পুরস্কৃত করে এই প্রতিষ্ঠান। কিছু পেশাদার ব্যক্তির উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনের নামে একটি ডোমেইন কিনে পরে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামের আরেকজন এটির প্রতিষ্ঠাতা।
এ পুরস্কারটি পেয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য কতটা সম্মানের, বোঝানো যাবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকের মধ্যে আমি বাংলাদেশি।
আমার নাম ছিল তালিকায় ১১ নম্বরে। যখন পুরস্কার নেওয়ার জন্য ইংরেজিতে বলা হলো “জায়েদ খান ফ্রম বাংলাদেশ”, তখন ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ করলাম। মানুষের করতালিতে বারবার আবেগে আপ্লুত হচ্ছিলাম। অর্জনটি আমাদের দেশের জন্য গৌরবের। আমার জীবনের সেরা অর্জন। দেশকেই আমি অর্জনটি উৎসর্গ করলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছরের জন্য আমাদের সবাইকে পিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজের শান্তির জন্য আমরা কাজ করব।’
জানা যায়, সম্প্রীতি, শান্তি ও নিজ নিজ স্থানে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
এ বছর বিশ্বের ৪০ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এই সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ এবং দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন থেকে যৌথভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ঈদুল আজহার আগে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে দ্বিতীয়বারের মতো নিউইয়র্কে যান জায়েদ খান। এখনো দেশটিতে ঘুরছেন এই অভিনেতা। অংশ নিচ্ছেন বেশ কিছু আয়োজনে। জায়েদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব কটি অঙ্গরাজ্য ঘোরা শেষ। ভালো সময় কাটাচ্ছি। শিগগির দেশে ফিরব।’