নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ফারুকী, নির্মাতা থেকে উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ সাড়ে ৭টার পর বঙ্গভবনে তিনি শপথ নেন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন ‘টেলিভিশন’, ‘ডুব’–এর নির্মাতা।

আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণ করে খ্যাতি পেয়েছেন এই নির্মাতা।

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে যোগ দিলেন ফারুকী।

নির্মাণের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ফারুকী। তাঁর মালিকানাধীন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ছবিয়াল’–এর ব্যানারে তিনি বহু বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

১৯৯৮ সালে ফারুকী নির্মিত ‘ওয়েটিং রুম’ মুক্তি পায়। আড়াই দশকের ক্যারিয়ারে ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’, পিঁপড়াবিদ্যা’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন ফারুকী।

শপথ নিচ্ছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

‘ডুব’, ইংরেজিতে ‘নো বেড অব রোজেস’ সিনেমাটি যেবার বাংলাদেশ থেকে অস্কার প্রতিযোগিতায় গিয়েছিল সে বছর; অর্থাৎ ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটির রিভিউয়ার ম্যাগি লি এমন এক বাক্য লেখেন, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। সিনেমাটিতে সুখ, একাকিত্ব ও মনস্তত্ত্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে বলেন, ‘ফারুকী প্রমাণ করেছেন, তিনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অনন্য কণ্ঠস্বর।’

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই এই আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন ফারুকী। ফেসবুকে প্রতিদিনের নানা ঘটনা নিয়ে অকপটে নিজের মতো জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও সমসাময়িক নানা বিষয়ে অন্তর্জালে সরব ছিলেন এই নির্মাতা।