শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরুতেই ঐক্য পোষণ করেছিলেন তরুণ গায়ক তাসরিফ খান। কখনো গান, কখনো সরাসরি কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতে, যৌক্তিক এই আন্দোলন ছিল প্রাণের দাবি। তবে আন্দোলনে সফলতা এলেও দায়িত্ব এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করলেন তাসরিফ। এই ঐক্যকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে এখনো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সময়ে গণভবনসহ দেশের নানা প্রান্তে চুরি ও লুট হয়েছে। জাতীয় সম্পদ নষ্ট করছেন অনেকেই। এগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাশে থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি। তাসরিফ বলেন, ‘এ মুহূর্তে নিজের এলাকা, পাড়া-মহল্লা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। দেশের অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার আগপর্যন্ত তরুণদের আহ্বান জানাব, প্রতি রাত জেগে এলাকা পাহারা দিন।’
কেউ কেউ এই সময়ে সহিংসতা করছেন। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার খবরে হতাশ এই গায়ক। অশুভ সেই মহলে নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তাসরিফ বলেন, ‘অন্যায়কারীদের আর কোনো সহিংসতা করতে দেওয়া যাবে না। আমাদের মাঠে থাকতে হবে। সবার পাশে থাকতে হবে। যেখানে আঘাত আসবে, সেখানেই মানবঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে। আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগপর্যন্ত দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।’
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল খবর ছড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করলেন তাসরিফ খান। এগুলো নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার দেখতে চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অনেকেই নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁরা এখন প্রতিশোধ নিতে চাইছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনারা অপরাধীদের তালিকা তৈরি করেন। সময় হলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এখন ব্যক্তিগত ক্ষোভ মেটাবেন না। তাহলে এটা হবে বিজয়ের কাছাকাছি এসে ব্যর্থ হওয়া। এটা তরুণেরা হতে দেবে না।’
তাসরিফ আরও বলেন, ‘নিজ এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, নিজেদের মাঝে প্রতিবেশীমূলক সম্পর্ক সুন্দর করতে হবে। এতে সবার মাঝে একটা ঐক্য তৈরি হবে। এভাবেই প্রতিটা এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমও আমরাই রুখে দিতে পারব। গত পনেরো-বিশ রাত আমরা নির্ঘুম কাটিয়েছি, আরও কিছু রাত নির্ঘুম থাকতে হবে। সামনের দিনগুলো আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ভক্তদের বলছি, আমাদের এলাকায় আমরা প্রস্তুত আছি।’