অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে চলছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’। ৭ জুলাই মুক্তির দিন থেকেই দেশটির প্রেক্ষাগৃহগুলোতে বাংলাদেশি দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। দেশটির প্রধান শহর সিডনিসহ রাজধানী ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, পার্থ, হোবার্টে চলছে ‘সুড়ঙ্গ’। এ ছবির প্রথম দিনেই আড়াই হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এখন সিডনি ও ব্রিসবেনের আসন্ন কয়েকটি শোয়ের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ ছাড়া সিডনির ক্যাম্বেলটাউন আর্টস সেন্টারে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’।
পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ডেও ৩০ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে ‘সুড়ঙ্গ’। জানা গেছে, সে দেশে হোয়েটস সিলভিয়া পার্ক সিনেমা হলের প্রথম দুটি শোয়ের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী ৬ আগস্ট নিউজিল্যান্ডের হোয়েটস সিলভিয়া পার্ক ও রিয়ালটো সিনেমাসে দেখা যাবে ‘সুড়ঙ্গ’।
অস্ট্রেলিয়ায় অনলাইনে ‘সুড়ঙ্গ’র টিকিট বিক্রির চাপে ওয়েবসাইট আটকে গিয়েছিল বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ায় ছবিটির পরিবেশক বঙ্গজ ফিল্মসের কর্ণধার তানিম আল মিনারুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনেই আড়াই হাজার টিকিট বিক্রি আমাদের অবাক করেছিল। ইতিমধ্যে ৫৩টি শো হয়েছে, সামনে আরও কয়েক সপ্তাহের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।’
সিডনির হোয়েটস ব্যাংকসটাউন সিনেমা হলে পরিবার নিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’ দেখেছেন মোরব্যাংকের বাসিন্দা আরিফ ইসলাম। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘সুড়ঙ্গ এককথায় অসাধারণ। বাস্তব কাহিনির সঙ্গে পরিচালক যেভাবে কল্পনার মিশেল ঘটিয়েছেন, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। হুটহাট গল্পের মোড় ঘুরে যাওয়া আবার আবেগপ্রবণ দৃশ্য—সব মিলিয়ে উপভোগ করেছি। নতুন যুগের সেরা নতুন সিনেমা “সুড়ঙ্গ”।’
সিডনির হোয়েটস ব্ল্যাকটাউন সিনেমা হলে ‘সুড়ঙ্গ’ উপভোগ করেছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ফাহিমা সাত্তার।
তিনি বলেন, ‘চমৎকার সিনেমা। নিশোর অভিনয় বরাবরের মতো অসাধারণ। রায়হান রাফী আবারও বাজিমাত করেছেন।’ একই সিনেমা হলে ছবিটি দেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ফখরুল রিয়া।
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি এককথায় অসাধারণ। আর আফরান নিশোর অভিনয় নিয়ে বলার ভাষা নেই। দেখতে গিয়েছিলাম চিরচেনা বহুরঙা নাটকের নিশো ভাইকে, দেখে এলাম মাসুদ নামে ভিন্ন এক নিশোকে।’
সিডনির ক্যাম্বেলটাউন আর্টস সেন্টারে সিনেমাটি দেখেছেন বাংলাদেশি কাজী ইসরাত জেরিন। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি দারুণ লেগেছে। তবে আমি বিশেষ করে তমা মির্জার অভিনয়ের প্রশংসা করতে চাই। চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, তা উপভোগ করেছি।’