গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে বানিয়েছেন ‘কাজলরেখা’। কোলাজ
গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে বানিয়েছেন  ‘কাজলরেখা’। কোলাজ

সিঙ্গেল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছি: সেলিম

‘কাজলরেখা’ পুরোদস্তুর ইতিহাসনির্ভর সিনেমা। ছবিটি দেখতে বসলে মনে হবে, ঠিক আজ থেকে ৪০০ বছর আগে চলমান জীবনকাহিনি। ঐতিহ্যবাহী ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে ছবিটি বানিয়েছেন গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। শুটিং হয়েছে নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরে। সেখানে তিন মাস ধরে সেট নির্মাণ করা হয়। আর সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক শিল্পী। সবার অভিনয়ই খুব প্রশংসিত। যদিও বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা না হওয়ায় প্রথমে হল পেতে গিয়ে বহু কাঠখড় পুড়াতে হয় পরিচালককে। সমালোচকেরা বলছেন, ‘এটি ঈদের ছবি নয়।’ তবে নির্মাতার ভাষ্য, ‘তাহলে ঈদের ছবি কেমন হবে? তামিল-তেলেগুর মতো?’
এখন ধীরে ধীরে হল পাচ্ছে সিনেমাটি। হল পরিদর্শন করছেন নির্মাতা এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সিনেমাটি প্রসঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিকে দেওয়া

‘কাজলরেখা’র দৃশ্য। ফেসবুক থেকে

সাক্ষাৎকারে নির্মাতা সেলিম বলছেন, ‘মাল্টিপ্লেক্সেগুলোতে আমাদের ছবি চলছে, মানুষ খুব প্রশংসা করছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন যাত্রা শুরু হবে।আমাদের প্রথম সিঙ্গেল স্ক্রিনে নওগাঁর তাজ সিনেমা হলে আগামী শুক্রবার থেকে কাজলরেখা দেখানো হবে। আমি তাকিয়ে আছি সিঙ্গেল স্ক্রিনের দিকে। আপামর বাংলাদেশের মানুষ আমাদের কীভাবে নেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। পাশাপাশি যেখানে যেখানে আমাদের সিনেমা আছে, সেখানে দল বেঁধে আমরা যাব।’

সিনেমার প্রচার প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘গতানুগতিক প্রচার চলছে। সত্যি বলতে, এখন তো দর্শক প্রচার করবেন। আমাদের তো প্রচার করার তেমন নেই। আমরা উপস্থিত আছি, এইটুকু জানান দেওয়ার ব্যাপার আছে। যাঁরা দেখছেন, তারা ভালো বলছেন। তাঁরা তাঁদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে বলবেন। সবাই মিলে আবার সিনেমাটা দেখবেন।’
পাশাপাশি সিনেমাটিকে একটি গবেষণাধর্মী কাজ বলেছেন ‘কাজলরেখা’য় অভিনয় করা শিল্পীরাও।