বিরতির পর আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণে ফিরছেন সোহেল আরমান। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘সংবাদ’-এর দৃশ্য ধারণের কাজ। সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান ও সোহেল মন্ডল। ১৮ মে নিজের জন্মদিনে সিনেমাটির শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেন নির্মাতা সোহেল আরমান।
সোহেল আরমান ১৯৯২ সালে নির্মাণে নামেন। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচ শর বেশি নাটক, বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুঃখ-আনন্দ নিয়ে আজকের সোহেল আরমানের পথচলা। খোকনের (এন এ খোকন) অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। হুট করে চার বছর আগে সিনেমা প্রযোজনার কথা জানান। চার বছর পর শুরু। সবাই দোয়া করবেন। আশা করছি দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছেন।’
ভয়েস টুডের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির গল্প লেখার পাশাপাশি প্রযোজনা করছেন এন এ খোকন। তিনি বলেন, ‘সিনেমা পরিচালনা বা প্রযোজনা না করলেও একজন চলচ্চিত্রের কর্মী ছিলাম। এক শর বেশি নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনা করেছি। অবশেষে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসা। সোহেল আরমানের ওপর আস্থা আছে বলেই তাঁকে দিয়ে শুরুটা করেছি।’
প্রথমবারের মতো ছোট ভাইয়ের নির্দেশনায় চলচ্চিত্রে কাজ করবেন প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। সিনেমাটিতে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।
সিনেমাটি নিয়ে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘চলতি বছরটি আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। কয়েক বছর পারিবারিক কারণে কাজ থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। এখন সিনেমার ভালো সময় যাচ্ছে। সিনেমা বড় মাধ্যম। মানুষ আমাকে সিনেমার মাধ্যমে চিনুক, সব সময় সেটাই চেয়েছি। সেই প্রচেষ্টার মধ্যেই আছি। সংবাদের গল্পটা দুর্দান্ত। চরিত্র শুনেই সিদ্ধান্ত নিই কাজটি করতেই হবে। সব সময় সব চরিত্রের সুযোগ হয় না। সবকিছু মিলিয়ে সিনেমার জোয়ার বইছে। “সংবাদ” অন্য সিনেমার মতো ভালো লাগার এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’
আইশা খান বলেন, ‘সুন্দর একটি গল্পের আইডিয়া নিয়ে এসেছেন খোকন ভাই। আমি সব সময় ভালো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তাঁদের মধ্যে সোহেল ভাই একজন। তিনি যখন গল্প বলেছেন, চোখ দিয়ে পানি বের হয়েছে। যতবার গল্পটি পড়েছি, চোখ দিয়ে পানি পড়েছে। আমি তাঁর লেখার ভীষণ ভক্ত। চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। আশা করি, দর্শকেরা নিরাশ হবেন না।’
সোহেল মন্ডল বলেন, ‘সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। গল্প শুনেই মনে হয়েছে, এটার সঙ্গে যুক্ত হওয়া দরকার। সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’ এ ছাড়া সিনেমাটিতে আছেন অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। ১৯৯৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান। প্রথমবারের মতো কাজ করছেন চলচ্চিত্রে। যে কারণে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র নিয়ে মৌ বলেন, ‘এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। নির্মাতা অনেক বিশ্বাস করে আমাকে নিয়েছেন। চেষ্টা থাকবে তাঁর বিশ্বাস রাখার। সংবাদের ভেতর সংবাদ আরও আছে, সঙ্গেই থাকুন।’
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন কাজী খুরশীদুজ্জামান উৎপল, সালাহউদ্দিন লাভলু, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, তাহমিনা সুলতানা মৌ, আজম খান প্রমুখ। ১৮৭২ সালের জমিদারবাড়ির একটি হারানো গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হবে। এর চিত্রনাট্য করেছেন সোহেল আরমান নিজেই। ১ জুন শুরু হয়ে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রথম কিস্তির শুটিং চলবে বলে জানান নির্মাতা। আগামী বছর সিনেমাটির প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ক্যাপশন: আইশা খান, সোহেল আরমান ও সোহেল মন্ডল। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে