‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক আটকে রাখার দৃশ্য নিয়ে পরিবেশবাদীদের উদ্বেগের মধ্যে সিনেমাটি দেখে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বলছে, এতে বন্য প্রাণী আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমনের চার সদস্যবিশিষ্ট একটি দল আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় সিনেমাটি দেখেছে। পরে বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানান, সিনেমায় একটি ভাতশালিক আটকে রাখায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ‘হাওয়া’ নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন প্রথম আলোকে জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। জানার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস জানান, ‘সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার আলোকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন বন বিভাগে দাখিল করবেন, পরে মামলা করা হবে কি না, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা দেখেছি, আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, একটি শালিক সারাক্ষণ একটি খাঁচায় বন্দী ছিল। এর মধ্য দিয়ে দর্শকদের কাছে একটি বার্তা যায় যে পাখি আটকে রাখা যাবে।
‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্যটি নিয়ে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে, ছবি থেকে দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা। সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষিসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশে বন্য প্রাণী আটকে রাখা, হত্যা করার মতো অপরাধ দমনে সোচ্চার রয়েছে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এর আগে একটি টিভি নাটকে খাঁচাবন্দী টিয়া দেখানোর দৃশ্য থাকায় নাটকের পরিচালকের বিরুদ্ধে গত এপ্রিল ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে এই ইউনিট। ওই মামলাটি এখন বিচারাধীন।