নায়িকারা সাধারণত অনেক কিছু রহস্যের মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন। এ ক্ষেত্রে পরীমনি যেন উল্টো। আলোচনা–সমালোচনা দুই-ই চলে এই তারকাকে ঘিরে। সমসাময়িক কিংবা অগ্রজদের মধ্যে কোনো নায়িকাকে ঘিরে এত আলোচনা হয়েছে কি না, কারও জানা নেই। কাজ নিয়ে যতটা আলোচনা, কাজের বাইরের ঘটনায় পরীমনি যেন অনেক বেশি আলোচনা–সমালোচনায় থাকেন। তবে কোনো কিছুতেই তিনি দমে যাওয়ার মানুষ নন। নিজের খেয়ালখুশিতে চলেন। নিজের যা ভালো লাগে, তা–ই করেন। খারাপ লাগার বিষয়টিও মুখের ওপর অকপটে বলে দেন। তেমনই এক স্বীকারোক্তি করলেন গতকাল মঙ্গলবার ‘রঙিলা কিতাব’ ওয়েব সিরিজের ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে। অকপটে জানিয়ে দিলেন, কোনো কিছুই তিনি লুকাতে চান না। তিনি যা, তা–ই সবার সামনে প্রকাশ করেন।
আগামী ৮ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে অনম বিশ্বাস পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। সিরিজে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি ও মোস্তাফিজুর নুর ইমরান। সিরিজটির মুক্তি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে হইচইয়ের পক্ষে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। যেখানে পরিচালক অনম বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ ‘রঙিলা কিতাব’–সংশ্লিষ্ট অনেকে।
বিনোদন অঙ্গনে শুরুটা নাটকে অভিনয় দিয়ে হলেও পরীমনি আলোচনায় আসেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। ২০১৫ সালে এই নায়িকার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তি পায়। শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয়ের পর কেটে গেছে লম্বা সময়। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। অভিনয়ের ধারাবাহিকতায় এবার তাঁর অভিষেক ঘটছে ওয়েব সিরিজে। ‘রঙিলা কিতাব’ দিয়ে যার শুরুটা হচ্ছে। চিত্রনাট্য পড়ার পর থেকেই কাজটি নিয়ে বেশ এক্সাইটেড ছিলেন তিনি, এমনটাই জানালেন সংবাদমাধ্যমে। এই সিরিজে তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম সুপ্তী, যে কিনা একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পরীমনি বলেন, ‘শোনেন আমি ছাড়া সুপ্তী চরিত্রটি হতো না। সুপ্তীকে আমার দরকার হতো। অন্তত আমার জীবনে একটা ক্ষুধা থেকে যেত যে আমি সুপ্তী চরিত্রটি করতে পারিনি। আকাঙ্ক্ষাটা আমার মধ্যে থেকে যেত। আমি কোনো আফসোস জীবনে রাখতে চাই না। তাই সুপ্তী চরিত্রটি করে ফেলেছি।’
ট্রেলার দেখার পর কেউ কেউ বলছেন, নায়িকা চরিত্রে বাইরে অন্য এক পরীমনির অভিষেক ঘটতে চলছে ‘রঙিলা কিতাব’–এ। যেখানে অভিনয়শিল্পী পরীমনির দেখা পেয়েছেন অনেকে। বিষয়টি পরীমনির কান পর্যন্তও পৌঁছে গেছে। তাই তো তিনিও বললেন, ‘নায়িকা–টায়িকা বুঝি না। আমি একজন মানুষ। মানুষ হয়ে আসছি, মানুষ হয়েই চলে যেতে চাই। মাঝখানে যা যা হয়েছে, তার মধ্যে কোনো রাখঢাক আমি রাখতে চাই না। যেমন এই প্রেম বলো, বিয়ে বলো, বাচ্চা বলো, ডিভোর্স বলো এবং বুড়ো হওয়ার ব্যাপারটা বলো—এই বয়স লুকানোটা আমার কাছে অনেকটা আরোপিত বিষয় মনে হয়। আমি কোনো কিছু লুকাতে চাই না, আমি যা, আমি তা–ই।’