সামাজিক-অ্যাকশন ঘরানার ছবির জন্য মমতাজ আলী জনপ্রিয়তা পান
সামাজিক-অ্যাকশন ঘরানার ছবির জন্য মমতাজ আলী জনপ্রিয়তা পান

সিনেমার টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে বোম্বে গিয়েছিলেন তিনি

পরিচালক-প্রযোজক ও পরিবেশক মমতাজ আলীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৭ সালের ৮ নভেম্বর মারা যান তিনি। সামাজিক-অ্যাকশন ঘরানার ছবির জন্য তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।
মমতাজ আলী ১৯৩৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সিনেমার টানে বালক বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বোম্বে (মুম্বাই) চলে যান তিনি। জানা যায়, সেখানকার বিভিন্ন ফিল্ম ইউনিটে কাজ করার পাশাপাশি শিশুশিল্পী হিসেবে ১০-১২টি ছবিতে অভিনয় করেন। শোনা যায়, কিংবদন্তি রাজ কাপুরের সঙ্গেও কাজ করেছেন মমতাজ আলী।
মমতাজ আলী ১৯৫৭ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে পরিচালক এ জে কারদারের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বিখ্যাত ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন তিনি। এ ছাড়া লাহোর ও ঢাকায় আরও অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন মমতাজ আলী। ‘আকাশ আর মাটি’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছেন।

মমতাজ আলী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নতুন নামে ডাকো’ মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। অন্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নতুন ফুলের গন্ধ’, ‘রক্তাক্ত বাংলা’, ‘সোনার খেলনা’, ‘কে আসল কে নকল’, ‘ঈমান’, ‘কুদরত’, ‘নালিশ’, ‘নসীব’, ‘উসিলা’, ‘নিয়ত’, ‘কারণ’, ‘বিশাল’, ‘নতিজা’ ও ‘সোহরাব রুস্তম’। পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজক ও পরিবেশক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

মমতাজ আলী পরিচালিত বেশির ভাগ সিনেমাই পেয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা। তাঁর চলচ্চিত্রের গানগুলোও হতো শ্রুতিমধুর। যেমন ‘তোমাকে চাই আমি আরো কাছে’, ‘অমন করে যেও নাগো তুমি’, ‘ও দাদা ভাই মূর্তি বানাও’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘খোদার ঘরে নালিশ করতে দিল না আমারে’ প্রভৃতি।