আদর আজাদ, পূজা চেরী, ইধিকা পাল ও সিয়াম আহমেদ। কোলাজ
আদর আজাদ, পূজা চেরী, ইধিকা পাল ও সিয়াম আহমেদ। কোলাজ

যে তিন সিনেমা আর হচ্ছে না

শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, চূড়ান্ত হয়েছিল শুটিংয়ের সময়ও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘রাস্তা’, ‘সাহেব’ ও ‘লীলা’র ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, জানিয়েছেন এই তিন ছবির প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা।
২০২১ সালের শেষের দিকে আসে ‘রাস্তা’ ছবিটির ঘোষণা, কথা ছিল ২০২২ সালের শুরুর দিকে শুটিং শুরু হবে। সিয়াম ও নবাগত স্নিগ্ধা চৌধুরীকে নিয়ে পরিচালক রায়হান রাফীর ছবিটি করার কথা ছিল।

ছবিতে পরিচালকের পারিশ্রমিক ছিল ১০১ টাকা আর নায়ক সিয়াম নিয়েছিলেন ১ হাজার ১ টাকা। যা নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়। কিন্তু পরে আর ছবিটির শুটিং হয়নি। আদৌ কি আর ছবিটি হবে? প্রযোজক আবদুল আজিজ জানালেন সবই ঠিক ছিল কিন্তু একটা পর্যায়ে তাঁর মনে হয়েছে, গল্পের কারণে সেন্সরে ঝামেলা হতে পারে। তা ছাড়া ছবির নায়কও শুটিংয়ের শিডিউল পেছাতে বলেছিলেন।

সিয়াম আহমেদ

আবদুল আজিজ বলেন, ‘শিল্পী, পরিচালক সবার সঙ্গেই চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পরে সিয়াম আরও সময় চাইলেন। গল্পের কারণেও একটু ভয় পাচ্ছিলাম। তারপরও ছবিটি করার ইচ্ছা ছিল। ভাবছিলাম ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে শুরু করব। তখনো সম্ভব হয়নি। এত দিন হয়ে গেল, এখন মনে হচ্ছে আর হয়তো ছবিটি করা হবে না।’

কথা ছিল ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে ‘লীলা’। তাই ২২ মার্চ থেকে আদর আজাদ ও পূজা চেরীকে নিয়ে শুটিং শুরুর কথা ছিল।

পূজা চেরি ও আদর আজাদ। সংগৃহীত

কিন্তু তার ঠিক দুদিন আগে বাতিল হয় শুটিং। এখন শোনা যাচ্ছে ছবিটি আর হবে না। প্রযোজকের ঝামেলার কারণে নাকি ছবিটির কাজের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ছবির পরিচালক আলোক হাসান বলেন, ‘শুটিংয়ে যাওয়ার ঠিক দুদিন আগেই বাতিল হয়েছে। ছবির প্রি-প্রোডাকশন খরচ, শিল্পীদের আগাম পারিশ্রমিকসহ প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা খরচও হয়ে গেছে। কিন্তু সে সময় কী কারণে প্রযোজক পিছিয়ে গেলেন, জানতে পারিনি। ইদানীং প্রযোজকের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে ছবিটি আর হচ্ছে না। ছবিটি নিয়ে তাঁর কোনো আগ্রহই দেখছি না। আমিও আশা ছেড়ে দিয়েছি।’ ছবির নায়িকা পূজা চেরীও জানেন না ছবির খবর। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল আপডেট পাইনি। হয়তো আর ছবিটি হবে না।’

শরীফুল রাজ ও কলকাতার নায়িকা ইধিকা পালকে নিয়ে গত আগস্টে ‘সাহেব’ সিনেমার শুটিং শুরুর কথা ছিল। পরে শুটিং পিছিয়ে যায়। এখন শোনা যাচ্ছে, এ ছবিটিও আপাতত হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ছবির পরিচালক সাইফ চন্দন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে প্রযোজক ছবিটি আর না–ও করতে পারেন।

ইধিকা পাল

প্রযোজকের কথায় বুঝতে পারছি, ছবিটি নিয়ে এখন আর তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। পরে অন্য কোনো প্রযোজক পেলে এই নামে ছবিটি হতেও পারে। তবে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।’