প্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরানকে দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন এক ভক্ত। দুজনই নামলেন প্রথম আলো কার্যালয়ের দশম তলার বোর্ডরুমে। গতকাল এখানেই মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩–এর কুপন বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিজয়ীর পুরস্কার নিতে এলেও প্রিয় শিল্পীরা কেন এখানে এসেছেন, বুঝতে পারলেন না।
সেই ভক্ত বোর্ডরুমে প্রবেশ করলেও ইমরানকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেলফি তোলার আফসোস নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করা শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন, অনুষ্ঠানস্থলে হাজির ইমরান, সঙ্গে এবারের তারকা জরিপের দুটি পুরস্কার পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো, একটু দেরিতে এলেন নবাগত অভিনয়শিল্পী হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত নাজনীন নীহা। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান।
এক এক করে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। ৬ বছরের শিশু থেকে ৬৮ বছরের বয়োজ্যেষ্ঠকেও পুরস্কার পেতে দেখে নিশো বলেন, ‘আমরা সব সময় ভাবি, আমাদের ভোট দিয়ে থাকেন তরুণেরা, আজ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধদের অংশগ্রহণ দেখে ধারণা পাল্টে গেল। আসলে ভালোবাসার মানুষের বয়সের কোনো সীমারেখা নেই।’
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হেড অব কালচারাল প্রোগ্রাম কবির বকুল। বিজয়ীদের মধ্যে তিন-চারজনকে পাওয়া গেছে, যাঁরা কয়েকবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের কুপন বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে একজন মাসুদ। যিনি তাঁর প্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে ২০১৭ থেকে ভোট দিয়ে আসছেন প্রতিবছর।
এবার নির্ধারিত পুরস্কারের সঙ্গে মেরিলের তরফ থেকে বিজয়ীদের গিফট হ্যাম্পার দেওয়া হয়। বিজয়ী ২৪ জনের বেশির ভাগই গতকাল পুরস্কার নিয়ে গেছেন। দুজন আসতে পারেননি। তাঁদেরও পুরস্কার বুঝিয়ে দেওয়া হবে। প্রিয় শিল্পীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পেরে বিজয়ীরা অনেক খুশি। অনুষ্ঠান শেষে প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি তুলতে বাদ গেলেন না একজনও।