বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাগৃহে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাকিব খান-মিমি চক্রবর্তী অভিনীত তুফান। এই একটি সিনেমাই ঘুরিয়ে দিয়েছে সিনেমার বর্তমান হালখাতা। তুফানের উরাধুরা আর দুষ্টু কোকিল গানে ঝড় তুলেছেন এই দুই দাপুটে তারকা শিল্পী। চোখের পলকে বাংলাভাষীদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে দুটি গান। সেই ঝড় যেন থামছেই না। এপার বাংলা থেকে দুষ্টু কোকিলের ডাক পৌঁছে গেছে ওপার বাংলাতেও। পাড়া থেকে মহল্লা সবখানে বাজছে মিমি-শাকিবের দুষ্টু কোকিল।
মিমির নাচের চুম্বক অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য রিল। বহুদিন পর বাণিজ্যিক সিনেমার গান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে তুফানে অভিনয়ের সাতসতেরো জানালেন মিমি চক্রবর্তীও। নায়িকার ভাষ্য, শাকিব খানের ছবি জেনেই তুফানে কাজ করেছেন। কিন্তু ছবি বানানোটা এতটা ভালো হবে ভাবতে পারেননি ওপার বাংলার নায়িকা। বলেছেন, পরিচালকের ভাবনায় অন্য এক শাকিব খান পর্দায় হাজির হয়েছেন। এই ছবি বিশ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
বাংলাদেশে চলমান তুফান–ঝড় যে কতটা তীব্র, সেটিও পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে জানান নায়িকা। বলেন, ‘শুধু “তুফান” ছবি দেখাতে বাংলাদেশে নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ভালো কাজকে দারুণভাবে গ্রহণ করতে জানে। এসি ছাড়া হলে এই গানের সঙ্গে অসংখ্য মানুষ নাচছে। আর আমাদের এখানে (কলকাতায়) গান শুনে খারাপ মন্তব্য করতে ব্যস্ত মানুষ।’
অভিযোগ করে মিমি বলেন, বাঙালিরা ভেবেই নিচ্ছে নাচ-গান খারাপ। বলছে বাণিজ্যিক ছবি দেখে না। তা হলে ‘দুষ্টু কোকিল’, ‘উরাধুরা’ কারা দেখছে? শাকিবের সঙ্গে কাজের সূত্রেই বন্ধুত্ব মিমির। কাজের পাশাপাশি নানা রকম আলোচনা হয়েছে তাঁদের। মিমি এখন নিরামিষ খান। সেটা নিয়ে কৌতূহল দেখান নায়ক শাকিব। শুধু তা–ই নয়, বাংলাদেশের হিরো শাকিব বেশ আন্তরিক বলেও জানান মিমি।
কিন্তু শাকিব যখন বন্দুক দেখিয়ে নাচতে বললেন? এই কথাতেও মিমির হাসিখুশি জবাব, ছবির কোনো দৃশ্যে প্রেমিক যখন কোনো অন্য পুরুষকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না, বন্দুক নিয়ে পৌরুষ দেখায়, সেই নাটকীয়তা তাঁর বেশ লাগে। এটা প্রেমিক তাঁর অধিকারবোধ থেকেই করেন।