মিশা সওদাগর–ডিপজল, মাহমুদ কলি– নিপুণ
মিশা সওদাগর–ডিপজল, মাহমুদ কলি– নিপুণ

মিশা–ডিপজলের কাছে কলি-নিপুণের হার

আবারও চমক! এবার পর্দার খলনায়কদের কাছে হারলেন নায়ক, নায়িকা। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল।
গতকাল শুক্রবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ভোট গণনা শেষে আজ শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। বৈধ ব্যালট ৪৩৪টি। বাতিল ব্যালট ৪১টি।
জানা গেছে, ২৬৫ ভোট পেয়ে এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা এবং দুই মেয়াদের সভাপতি মিশা সওদাগর। মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। রুবেল পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ডি এ তায়েব ২৩৪ ভোট।

ভোট দিচ্ছেন তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা

এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ ও কোষাধ্যক্ষ পদে কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

মিশা-ডিপজল

এবার কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে সুচরিতা ২২৮, রোজিনা ২৪৩, আলীরাজ ২৩৯, সুব্রত ২১৮, দিলারা ইয়াসমিন ২১৮, শাহনূর ২৪৫, নানা শাহ ২১০, রত্না কবির ২৬৩ ও চুন্নু ২৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি ২২০ ও সনি রহমান ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, ‘আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’

এফডিসিতে আড্ডার ফাঁকে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হন শাবনূর, বাপ্পী চৌধুরী, নিরব ও পরীমনি। ছবি: শফিক আল মামুন

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন খোরশেদ আলম। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।

নির্বাচনের আগের দিন গত বৃহস্পতিবার ডিপজলের বিরুদ্ধে কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মাহমুদ কলি-নিপুণ পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী সাদিয়া মির্জা। অভিযোগের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর কাছে প্রমাণ হিসেবে পেনড্রাইভে একটি ভিডিও সরবরাহ করা হয়েছিল। পরে ডিপজলকে নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চায় নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে ডিপজল বলেছিলেন, ‘টাকা আমরা দিছি না; বরং উনারা দিছে। এ ফুটেজও অনেকের কাছে আছে। আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানানো।’
পাল্টাপাল্টি এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টি শুধু ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়েই শেষ হবে না।