‘চলচ্চিত্রে হিরো ফারুক এবং হিরো আলমগীর হওয়ার পর আমরা পরিচিত হইনি। তার আগে থেকে আমরা পরিচিত। ১৯৬৪ সাল থেকে আমরা বন্ধু, আমরা ভাই। সে ৭০–এ নায়ক হয়েছে, আমি ৭২–এ। আমাদের ইতিহাসটা অনেক লম্বা। অনেক কথা আছে, পরে বলব। এখন স্মৃতিচারণা করার মতো মন-মানসিকতা নেই।’ চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর পর গণমাধ্যমে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান অভিনেতা আলমগীর।
চলচ্চিত্রের অভিনেতা সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান আলমগীর। তিনি বলেন, ফারুক নেই কথাটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর, কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার অসুস্থ অবস্থায় গত দুই বছর কষ্ট পাচ্ছিলেন ফারুক।
আলমগীর আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালীন ভাবির সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হতো। ফারুক অনেক কষ্ট পাচ্ছিল। সে তার কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে। আল্লাহ ফারুকের সব গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতবাসী করুক। ওর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’ সেই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, যে যেভাবে পারেন সেভাবে যেন চিত্রনায়ক ফারুকের জন্য দোয়া করেন।
দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা ফারুক। সবশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। পরীক্ষায় রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে নিজের পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন পর তাঁর মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যর্থ হয়। সোমবার সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।