‘মিশন এক্সট্রিম’ নামের একটি সিনেমার প্রস্তুতি হিসেবে শারীরিক গড়নে পরিবর্তন এনেছেন এই ঢালিউড তারকা। সেই প্রস্তুতি নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি তথ্যচিত্র। ১৭ সেপ্টেম্বর সেটি প্রকাশ করেছেন শুভ। আজ সন্ধ্যা ৭টায় এ নিয়ে তিনি কথা বলবেন প্রথম আলোর ক্যাফে লাইভ অনুষ্ঠানে।
‘আমি খুব ট্যালেন্টেড অভিনয়শিল্পী নই। আমার ট্যালেন্ট অভিনয়ে নয়, পরিশ্রমে। আমি খাটতে জানি।’ কথাগুলো অভিনেতা আরিফিন শুভর। ‘মিশন এক্সট্রিম’ নামের একটি সিনেমার প্রস্তুতি হিসেবে শারীরিক গড়নে পরিবর্তন এনেছেন এই ঢালিউড তারকা। সেই প্রস্তুতি নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি তথ্যচিত্র। ১৭ সেপ্টেম্বর সেটি প্রকাশ করেছেন শুভ। এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেন এই অভিনেতা। সেখানে নিজের অভিনয়ের সমালোচনা করেন তিনি নিজেই।
শুভ মনে করেন, তিনি আহামরি অভিনয় করেন না। তবে শরীর ও মনের সবটুকু উজাড় করে অভিনয় শিখতে চেষ্টা করেন তিনি। একই সঙ্গে চেষ্টা করেন কীভাবে অভিনয়ে আরও ভালো করা যায়। এ সবকিছুর সমন্বয়কেই তিনি মনে করেন অভিনয়ের ট্যালেন্ট। শুভ জানান, পরিশ্রম দিয়েই তিনি নিজেকে বদলাবেন, ভক্তদের মনও জয় করবেন। আরিফিন শুভ বলেন,‘আমি একজন ক্ষুদ্র অভিনয়শিল্পী। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় অভিনয়শিল্পী আছেন, যাঁরা ৪০ বছর অভিনয় করে জগদ্বিখ্যাত হওয়ার পরও বলে গেছেন, তাঁরা তখনো অভিনয় শেখার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হয়, অভিনয়জগতে আমার এখনো জন্মই হয়নি। তাই কাজের সময় আমি পরিচালক, সহ-অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, প্রোডাকশন বয়দের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি।’ শুভ কতটা পরিশ্রমী, সেটা তাঁর ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির প্রস্তুতির তথ্যচিত্র দেখলেই জানা যাবে। মাত্র দুই দিনে সেটি দেখা হয়েছে ১০ লাখবারের বেশি।
কোনো কিছু না পারা অন্যায় নয় বলে বিশ্বাস করেন শুভ। তিনি বলেন, ‘কেউ শ্রেষ্ঠ হয়ে জন্ম নেয় না। শিখে শিখেই একজন নিজেকে উন্নত করে। আবার চিরকাল আমরা নায়কের মতো দেখতে থাকব। একসময় আমাদের এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। এটাই যদি সত্য হয়, তাহলে আমরা কেন হিংসা-বিদ্বেষ করি। কেন আমাদের এত ইগো, কেন গ্লানি, কেন অন্যকে ছোট করা। কেন এত প্রতিশোধ। আসুন আমরা মুখে হাসি নিয়ে বাঁচি, অন্যকে ভালোবাসি। মান-অভিমান ভুলে যাই।’
একটি সিনেমার জন্য ৯ মাস ধরে শরীর প্রস্তুত করায় অনেকেই শুভকে ভর্ৎসনা করেছেন। তাঁদের উদ্দেশে শুভ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করবেন না। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের দেশে ঠিকঠাক ১৮টি সিনেমা হল পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ আছে। সেই ইন্ডাস্ট্রিতে একটি ছবির জন্য ৯ মাস ধরে নিজেকে তৈরি করেছি, সেটা পাগলামো ছাড়া আর কিছুই না। অনেকে হয়তো এই পাগলামো করবে না। আমার ইচ্ছা হয়েছে করেছি। কারণ, হলিউড-বলিউডের মতো আমাদের ব্যবসা নেই। আমরা স্ট্রাগল করছি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আইসিইউতে আছে। আমাদের চলচ্চিত্র বাঁচবে নাকি মরবে, জানি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
টানা ৯ মাস শরীরের গড়ন পরিবর্তনের দৃশ্য নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছেন শুভ, যা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার। ‘বডি বিল্ডিংয়ে’ এ ৯ মাসের শিক্ষা, নিজেকে ভেঙে গড়ার অনুপ্রেরণা, নিজের জেদ, ব্যথা, পরিশ্রম, বাধা, অর্জন—সবই দেখা যাবে তথ্যচিত্রে। সেসব নিয়ে আজ সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোর ক্যাফে লাইভে কথা বলবেন আরিফিন শুভ।