গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘মনপুরা’খ্যাত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটির পরিচালক, অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা হলে হলে ঘুরে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি উপভোগ করছেন। গতকাল শনিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্যামলী সিনেমা হলে ও সাতটায় বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ছিল দর্শকদের উল্লেখযোগ্য ভিড়। সেখানে উপস্থিত হয় পুরো ‘গুণিন’ টিম। এই ধারাবাহিকতায় ঢাকার যেকোনো হলে দর্শকেরা পেয়ে যেতে পারেন পরীমনিদের।
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম সরাসরি দর্শকদের কাছ থেকে সিনেমাটি নিয়ে মতামত শুনছেন। তিনি মনে করেন, এই সিনেমা দেশের দর্শকদের দেখা উচিত। সিনেমার গল্প, চরিত্র, প্রেক্ষাপট দর্শকদের বার্তা ও বিনোদন দেবে। তিনি বলেন, ‘“গুণিন” সারা দেশের ২০টি সিনেমা হলে চলছে। আপনারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন। সিনেমাটি ভালো হলে ভালো বলেন, খারাপ লাগলেও গঠনমূলক সমালোচনা করুন।’
‘গুণিন’ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন শক্তিমান অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। স্টার সিনেপ্লেক্সে তিনিও ছিলেন দর্শকসারিতে। এই অভিনেতা বলেন, ‘“গুণিন” আমার খুব কাছের একটা কাজ। এখানে আমার চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে প্রয়াস ছিল, আশা করি, সেটা করতে পেরেছি। আমাদের যিনি মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন, তিনিও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমার সেই লুক দেখে দর্শক উচ্ছ্বসিত, বুঝতে পারছি। ব্যতিক্রমী চরিত্রটি দর্শক পছন্দ করেছেন।’
শরিফুল রাজ ও পরীমনি এই প্রথম জুটি বেঁধেছেন ‘গুণিন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। সিনেমার জুটি এখন যে বাস্তবে সংসার পেতেছেন, তা পরীভক্তদের অজানা নয়। গতকাল সন্ধ্যায় হলগুলোতে তাঁরাও আলো ছড়িয়েছেন। পরীমনি বলেন, ‘পরপর দুই সপ্তাহে আমার দুটি সিনেমা মুক্তি পেল। মনে হচ্ছে, চারদিকে শুধু আমি। সারা শহর আমার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। যাঁরা “গুণিন” দেখে ফেলেছেন, তাঁরা আমার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। আমি বলব, এটার পুরো কৃতিত্ব আসলে সেলিম (গিয়াস উদ্দিন সেলিম) ভাইয়ের। আপনারা হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখুন। পরবর্তী সময়ে “গুণিন” শো হয়তো আপনার সঙ্গে বসে দেখব।’
প্রেক্ষাগৃহে ১১ মার্চ মুক্তি পেয়েছে চরকি প্রযোজিত সিনেমা ‘গুণিন’ পাওয়ারড বাই সাজগোজ। এই প্রথম চরকির কোনো কনটেন্ট ওটিটিতে মুক্তির আগে সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে, যা চরকির জন্যও এক নতুন অভিজ্ঞতা। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, ইরেশ যাকের, মোস্তফা মন্ওয়ার, শিল্পী সরকার অপু, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।