শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে ভেসে উঠল একটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, উড়োজাহাজের ভেতরে বসা দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন সকালে দেখা গেল দুবাইয়ের ফাইভ পাম জুমেইরাহ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট থেকে চেকইন দিচ্ছেন তিনি। সেখানে তোলা বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন। এই যাত্রায় ‘আশিকী’, ‘বস টু’, ‘শাহেনশাহ’খ্যাত ফারিয়ার সঙ্গী হয়েছেন হবু বর রনি রিয়াদ রশিদ। দীর্ঘ ৫ মাস ১৫ দিন পর সঙ্গনিরোধকাল শেষ করে ঘর থেকে বের হয়ে দুবাই গেলেন তিনি। এর আগে সর্বশেষ ১০ মার্চ ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন একটা শুটিংয়ের কাজে।
হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটে জানতে চাইলাম, এত জায়গা থাকতে দুবাই কেন? ফারিয়া লিখলেন, ‘দুবাই আমার প্রিয় শহর। বিশেষ করে শপিং করার জন্য দুবাইয়ের তুলনা নেই।’ তা কী কী শপিং করলেন? বড় পর্দার এই তারকা জানালেন, বালমেইনের একটা হ্যান্ডব্যাগ কিনেছেন। আর বললেন, ‘মাত্র তো গতকাল (শুক্রবার) এলাম। আগামীকাল থেকে শপিং শুরু করব।’ পাক্কা এক সপ্তাহ সময় হাতে নিয়ে দুবাই গেছেন ফারিয়া। তাই কোনো তাড়াহুড়ো নেই। আপাতত খাচ্ছেন, ঘুরছেন, ছবি তুলছেন, ছবি পোস্ট করছেন, আছেন আয়েশী মেজাজে। ফ্রুট সালাদ দিয়ে সেরেছেন লাঞ্চ। বললেন, আস্তেধীরে স্থানীয় খাবারও চেখে দেখবেন।
ফারিয়ারা ফাইভ পাম জুমেইরাহ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট নামের যে রিসোর্টটিতে থাকছেন, সেটি দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় আর বিলাসবহুল রিসোর্টের একটি। সেখানে রয়েছে জীবনযাপনের যাবতীয় অত্যাধুনিক আসবাব ও বিলাস পণ্যসমেত ৪৭০টি ঘর, পাঁচটি সুইমিং পুলসহ নানা কিছু। সেখান থেকে দেখা যায় আরব উপসাগর আর দুবাই স্কাইলাইন। ফারিয়া জানালেন, ৩ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। এর মধ্যে আবুধাবিতেও কয়েক রাত কাটাবেন।
২০১৩ সালের ২১ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ফারিয়ার। ফারিয়া আর রনি দুজনেরই ‘কমন’ এক বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয় তাঁদের। ফারিয়া তখনো নায়িকা হননি। পড়াশোনার পাশাপাশি উপস্থাপনা করতেন। এরপর দীর্ঘ সাত বছর সময় নিয়ে সম্পর্কের ভিত পোক্ত করেন। দেখেন অনেক চড়াই-উতরাই। অবশেষে নিজেরা মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২১ মার্চ বাগদান হয় ফারিয়া ও রনির। কথা ছিল, ফারিয়া-রনির বিয়ের সানাই বাজবে নভেম্বরে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সেসব এলোমেলো করে দিয়েছে। নভেম্বর পিছিয়ে কোথায় যে গেছে, তা জানেন না ফারিয়া নিজেও।
এই মুহূর্তে ফারিয়ার হাতে আছে দুটো সিনেমা। দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ও রাজা চন্দ পরিচালিত ‘ভয়’। বিয়ের পর সিনেমা করা কমিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ফারিয়া বলেছেন, ‘রনির পরিবার থেকে কোনো সমস্যা নেই। বরং তাঁরা অভিনয় করা নিয়ে আমাকে বেশ উৎসাহ দেন, প্রশংসা করেন। আর আমার হবু বরের সহযোগিতার কথা তো আগেই বলেছি। সত্যি বলতে, আমি অনেক লাকি। তবে এসবের আগে আমার হবু বরের পরিবার চায় আমার পড়াশোনাটা শেষ হোক। তাঁরা আমার পড়াশোনার বিষয়ে খুবই আগ্রহী।’