সেমিফাইনাল খেলতে পারলেই বিরাট অর্জন : ইরেশ যাকের

ইরেশ যাকের
ইরেশ যাকের

১৬ দলের মধ্যে সেরা চারে বাংলাদেশের থাকার আশা করাটা মোটেও বাস্তবসম্মত চিন্তা হবে না। প্রশ্ন উঠতে পারে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে তো আমরা হোয়াইটওয়াশও করেছি। তবে যে ধরনের পিচে আমরা তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছি, তেমন পিচ তো পাব না। আমরা ওদের ১১০ রানের পিচে হোয়াইটওয়াশ করেছি। সাম্প্রতিক আইপিএল যদি উদাহরণ হয়, তাহলে ১৫০-১৬০-এর পিচে খেলেছে সবাই। তাই ১৫০-১৬০-এর পিচ হলে আমাদের জন্য ভালো, ২০০-এর পিচ হলে আমরা করতে পারব না। তবে প্রথম ব্যাটিং করে আমরা যদি ১৫০-১৬০ করতে পারি, তাহলে যেকোনো দলের সঙ্গেই লড়াই করতে পারব।

সবকিছুর পর সেমিফাইনালে যেতে পারলে তো সোনায় সোহাগা। যদিও সেমিফাইনাল এই মুহূর্তে উচ্চাভিলাষী চিন্তা মনে হচ্ছে। অনুশীলন ম্যাচ দেখেও বুঝতে পারছি, আমাদের একদম স্পিন বোলিং-বান্ধব উইকেট না হলে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হবে। বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মতো কাজটা অত সহজ হবে না। তবে গ্রুপে যদি ভালো লড়াই করতে পারি, সেটা অর্জিত হবে। সুপার টুয়েলভে যোগ্যতা অর্জন করে আমরা যদি ৩-৪-এ থাকতে পারি, সেটা ভালো হবে। এটা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার মতো। আর সেমিফাইনাল যদি খেলতে পারি, তাহলে তো বিরাট অর্জন। ওটা আমি আশাও করছি না।

ফাইনালে ভারতই ফেবারিট। ওদের অনুশীলন আর সাম্প্রতিক আইপিএল ও অন্যান্য দিক দেখলে তেমনটাই মনে হয়। এরপর ফেবারিট পাকিস্তান, ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে ওরা অনেক এগিয়ে আছে। টি-টোয়েন্টির জন্য তারা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল। ইংল্যান্ড দলটাও বেশ শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডও কোনো অংশে কম নয়।

অভিনেতা ইরেশ যাকের

আমার কেন জানি মনে হয়, ভারত আর ইংল্যান্ড অথবা ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনাল খেলবে। আবার সুপার টুয়েলভেই বাদ পড়ে যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেকোনো দিন, যেকোনো দলকে ধ্বংস করে দিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওদের ৪-৫টি অস্ত্র আছে। ডোয়াইন ব্রাভো, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের থাকা মানে প্রতিটা ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা নিয়েই মাঠে নামা।