১২ মার্চ থেকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মহাস্থানগড়ে শুটিং চলছে ‘নদীর জলে শাপলা ভাসে’ ছবির। এই ছবিতে প্রথম জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন ও শিরিন শিলা। ছবির নায়েব চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। একজন মাঝি। গ্রামের খালে নৌকা চালান।
নৌকার ধারণক্ষমতা পাঁচজন। কিন্তু নৌকায় ওঠে আটজন। অতিরিক্ত তিনজন আরোহীকে ওই নৌকায় সব সময় থাকতে দেখা যায়।
কিন্তু কেন? প্রশ্ন শুনে হাসলেন মিলন। বলেন, ‘ভাই রে আমি তো সাঁতার জানি না। শুটিংয়ের সময় নৌকা চালাতে গিয়ে কোনো কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, নৌকা ডুবে যেতে পারে। তখন এই তিনজন যাতে আমাকে পানি থেকে তুলতে পারে, এ জন্য তিনজন মানুষকে দৃশ্যধারণের সময় নৌকায় রাখার ব্যবস্থা করেছে পরিচালক। বলতে পারেন আমার নিরাপত্তার জন্য এই কাজ করা হয়েছে।’
শুটিং করতে গিয়ে বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে নৌকায় থাকতে হচ্ছে, নৌকা চালাতে হচ্ছে। সাঁতার না জানার কারণে দৃশ্য নিতে গিয়ে ভয় লাগছে কি?—জানতে চাইলে মিলন বলেন, ‘সাঁতার না জানার কারণে শুটিংয়ের শুরুর দিকে ভয়ে ছিলাম। পরিচালক আমার সাঁতার না জানার ঘটনাটি জানার পর এই ব্যবস্থা করেছেন। এখন আর ভয় পাচ্ছি না।’
গ্রামীণ পটভূমির গল্প নিয়ে ছবির কাহিনি। গ্রামের এ ধরনের একজন মাঝির চরিত্রে আগে অভিনয় করেননি মিলন। তবে মাঝির চরিত্রটি ভালোই করতে পারছেন বলে জানালেন তিনি।
মিলন বলেন, ‘এর আগে নৌকা চালানোর অভ্যাস ছিল না। কিন্তু শুটিংয়ের শুরুর দিকে দৃশ্য ধারণের আগে আগে কয়েক দিন একটু অনুশীলন করেছিলাম। প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল, এখন ভালোই নৌকা " চালাতে" পারছি।’
এই অভিনেতা জানান, সিনেমায় এ ধরনের গ্রামীণ চরিত্রে অভিনয় তাঁর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। বলেন, ‘আগে এমন পটভূমির গল্পে কাজ না করলেও “হাজার বছর ধরে” ছবিতে আমার করা করিম শেখ চরিত্রটির কথা মনে পড়ছে।’
ছবিতে মিলনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শিরিন শিলা। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম তারামন বানু। এবারই প্রথম মিলনের বিপরীতে কাজ করছেন এই নায়িকা।
শিলা বলেন, ‘মিলন ভাই আমার প্রিয় অভিনেতা। তাঁর অভিনীত কত নাটক যে দেখেছি। তাঁর অভিনীত বেশ কয়েকটি সিনেমাও দেখেছি। সহশিল্পীর জন্য দারুণ একজন মানুষ তিনি। শুটিংয়ের সেই প্রথম দিন থেকেই আমার চরিত্রটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছেন তিনি।’
‘নদীর জলে শাপলা ভাসে’ ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সব্রত, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, রেবেকা, মাইশা প্রমুখ।
ছবিটি পরিচালনা করছেন মেহেদী হাসান। গল্প ও চিত্রনাট্য মশিউর রহমান। পরিচালক জানান, ৩০ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ার লোকেশনে চলবে এই শুটিং।