শিল্পীদের সম্মান যেন বজায় থাকে: শাবনূর
সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকলেও শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সব খবরই রাখছেন ঢালিউডের একসময়ের দাপুটে চিত্রনায়িকা শাবনূর। ফেসবুক আর ইউটিউবের কারণে এফডিসিতে যা ঘটছে, মুহূর্তেই জেনে যাচ্ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তাঁর চাওয়া, শিল্পীদের মধ্যে যেন সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যেন হয়। শিল্পীদের কাছ থেকে শিল্পীসূলভ আচরণটাই তাঁর প্রত্যাশা। তিনি বলেছেন, ‘দুই প্যানেলেই আছেন আমার শিল্পীরা। তাই আমার সমর্থন দুই প্যানেলেই।’
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচনে দুটি প্যানেলে লড়ছেন ৪২ জন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী। ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেলে আছেন অমিত হাসান, শাকিল খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, ডি এ তায়েব, সাইমন, শাহনূর, নিরব, ইমন, আজাদ খান, পরীমনি, আরমান, আফজাল শরীফ, কেয়া, নানা শাহ, জেসমিন, সাঙ্কোপাঞ্জা, গাঙ্গুয়া ও সীমান্ত। মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলে আছেন ডিপজল, রুবেল, সুব্রত, মৌসুমী, অরুণা বিশ্বাস, রোজিনা, আলীরাজ, সুচরিতা, নাদির খান, অঞ্জনা, বাপ্পারাজ, আসিফ ইকবাল, চুন্নু, আলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, জাকির হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও হাসান জাহাঙ্গীর। সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করেছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেল, অন্যদিকে দুবার সমিতির নেতৃত্বে থাকা মিশা ও জায়েদের অঙ্গীকার—দেশপ্রেম-দায়িত্ব-শৃঙ্খলা-সুস্থ সংস্কৃতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
শাবনূর বলেন, ‘দুই প্যানেলে আমার আর্টিস্টরাই আছেন। মৌসুমী আপা আমার বড় বোনের মতো। তাঁর সঙ্গে আমার অনেক সুন্দর স্মৃতি। রিয়াজ আর ফেরদৌস তো আমার খুবই অসাধারণ দুজন সহকর্মী। তাদের সঙ্গেও আমার অনেক সিনেমায় কাজ হয়েছে। তাই আমি বলতে চাই, সবাইকে আমি ভালোবাসি। দিন শেষে সবাই মিলেমিশে থাকুক।’
কিন্তু আপনি নাকি মিশা–জায়েদ প্যানেলে সমর্থন দিয়েছেন। এই নির্বাচনে তাদের জয় চান? সংবাদমাধ্যমেও এমন কথা উঠে এসেছে। এমন প্রশ্নে শাবনূর বলেন, ‘বিষয়টা আসলে মোটেও তেমন না। জয় আমাকে ফোন করেছিল, তখন তাঁদের প্যানেলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছি। আমাকে অনেকেই ফোন করেন। সবার প্রতি আমার তো শুভকামনা–দোয়া থাকছে। আমি চাই, শিল্পীরা মিলেমিশে থাকুক। এখানে কাদা ছোড়াছুড়ির তো কিছুই নাই। যেমন ভাইয়াও (ইলিয়াস কাঞ্চন) আমার ভীষণ প্রিয়। তাঁর মতো মানুষের জন্য তো মন থেকে শুভকামনা থাকবে। মিশা ভাইয়ের সঙ্গে আমার সিনেমায় কাজ হয়েছে।’
শাবনূর আরও বলেন, ‘এখানে তো কেউ আসলে যুদ্ধে নামেননি। শিল্পীদের মনমানসিকতা উদার থাকতে হবে। এবার আরেকটা জিনিস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে, রিয়াজ ও ফেরদৌস একসঙ্গে আছে। সুন্দর সব কথাবার্তাও বলছে। দুই প্যানেলের জন্যই আমার আন্তরিক শুভকামনা রইল।’ দেশে থাকলে নিশ্চয় ভোট দিতেন? কোন প্যানেলকে আপনি ভোট দিতেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো এখানে বলা যাবে না। দেখে দেখে তবেই আমি নিজের পছন্দের সবাইকে ভোট দিতাম।’