সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত সচল পরীমনি। নিত্য নতুন ছবি আর স্ট্যাটাস দিয়ে ভক্তদের নিজের অবস্থান জানান দেন। অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁদের দুজনের চলাফেরায় বেশ সুখের খবরই পাওয়া যায়। এর মধ্যে হঠাৎ শুক্রবার দুপুরে পরীমনি তাঁর ফেসবুকে ‘অতঃপর একা...’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কেন এই স্ট্যাটাস? কী হয়েছে?
ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে পরীমনি বলেন, ‘আরে মানুষ একা থাকতে পারে না। এখন দুপুরের খাবারের পর এই যে আমি ঘরে একা আছি। সমস্যা কী।’
এরপর মজা করে এই নায়িকা বলেন, ‘এই ঘরে যে আমি একা, আদৌ কি আমি একা? না, আমার ভেতরে তো আরেকজন আছে। সো আমরা এখন দুজন। হা হা হা।’
পরীমনি জানালেন এখন জীবনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখেছেন। জীবনকে নতুনভাবে গুছিয়ে এনেছেন।
বলেন, ‘যখন যে জায়গায় থাকি, তখন সেভাবেই জীবনকে যাপন করি এখন। যখন ঘরে থাকি তখন একেবারেই লক্ষ্মী বউয়ের মতোই থাকি। আবার যখন শুটিংয়ে তখনই শুধুই একজন অভিনয়শিল্পী। আগের মতো সব জায়গায় সব জিনিস মাথায় নিয়ে এখন আর চলতে চাই না। জীবনটাকে আর জগাখিচুড়ি করতে চাই না।’
বিয়ের পর থেকেই দারুণ সময় পার করছেন পরীমনি। বৃহস্পতিবার শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর ও রাজের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার শোতে তাঁর ‘গুণিন’ ছবিটি দেখেছেন তাঁরা। পরী বলেন, ‘ছবি দেখে বের হয়ে শ্বশুর ও শাশুড়ি দুজনই আমার আর রাজের অভিনয়ের খুব প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মুখ থেকে প্রশংসা শুনে আমার তো একরকম লজ্জায় লাগছিল।’
সময় সময় শ্বশুর দেখতে এলেও মাঝেমধ্যে শাশুড়ি টানা সময় থাকেন পরীদের সঙ্গে। শাশুড়িকে খুব পছন্দ পরীর। বলেন, ‘শাশুড়ি খুব ভালোবাসেন আমাকে। টেককেয়ার করেন। মাঝে মাঝে শাশুড়ি আমার আর রাজকে নিয়ে মজার মজার কথা বলেন। প্রায় সময় আমি ও রাজ দুজনই বাসায় একই রঙের শর্ট ও টি-শার্ট পরি। দুজনের কাণ্ড দেখে হাসতে হাসতে শাশুড়ি বলেন, “তোমরা দুজনই পাগল। দুই পাগল এক হয়েছ। কীভাবে দুজন এক জায়গায় আসলে, কীভাবে দুজনকে ওপরওয়ালা মিলিয়ে দিল।”’
এদিকে কয়েকটি ছবির টুকটাক শুটিং বাকি ছিল, সম্প্রতি তা শেষ করে দিয়েছেন পরীমনি। সন্তান জন্মের আগে আর নতুন কোনো ছবি হাতে নিচ্ছেন না তিনি। পরীমনি বলেন, ‘হাতের কাজ সব শেষ। এখন আস্তে আস্তে আমার ছবিগুলো মুক্তি পাবে। হলে গিয়ে সিনেমাগুলো দেখব।’
মজা করে পরীমনি আরও বলেন, ‘একসময় বাচ্চা কোলে নিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাব। কোলে বসে সন্তান তার বাবা, মায়ের ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখবে। নতুন নতুন ছবির শুটিং করব, শুটিং লোকেশনে বাবা, মার শুটিং দেখবে সন্তান। কী মজাটাই না হবে। হা হা হা।’
পরীমনি জানালেন চিকিৎসকের পরামর্শেই চলছেন তিনি। তবে চিকিৎসক যা যা খেতে বলেছেন, যা যা করতে নিষেধ করেছেন, ঘুরেফিরে নাকি তার উল্টোটা মাথায় আসে তাঁর। হাসতে হাসতে পরীমনি বলেন, ‘যেসব শাকসবজি খেতে বলেছেন, সেগুলো খেতে গেলে মেডিসিন মনে হয়। আবার জার্নি করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু ইদানীং লং জার্নিতে কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে আমি আর রাজ মিলে দূরে কোথাও চলে যাই। বেশ কিছুদিন একান্তেই সময় কাটাই দুজন।’